সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রণালযয়র প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিশ্বায়নের এ যুগে বাণিজ্য হচ্ছে উন্নয়নের সবচেয়ে শক্তিশালী নিয়ামক। বাণিজ্য প্রসারে কাস্টমসের ভূমিকা অগ্রগণ্য। বাণিজ্যের প্রসার ও রাজস্ব আহরণে শুল্কায়ন ব্যবস্থাপনাকে আরো সহজতর করতে হবে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর নগরীর শীতল কমিউনিটি সেন্টারে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কাস্টমসের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন এবং দারিদ্র্য বিমোচনে ও দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নর জন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ বৃদ্ধির বিকল্প নেই। কাস্টমসের আওতা বৃদ্ধির মাধ্যমে উন্নয়ন ও অগ্রগতির কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন-রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, বিজিবির (উত্তর পশ্চিম রিজিয়ন) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কায়সার হাসান মালিক, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ, রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিলন। সভাপতিত্ব করেন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট রংপুরের কমিশনার শওকত আলী সাদী।
অতিথিরা বক্তব্যে বলেন, বাণিজ্য বাধাসমূহ সুষম ও সহজ করে বাণিজ্য ব্যয় হ্রাস করা হলে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও রাজস্ব আহরণ আরো বাড়বে। বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃজনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি শক্তিশালী হবে।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, মহানগরের সভাপতি সাফিয়ার রহমান সফি, সাধারণ সম্পাদক বাবু তুষার কান্তি মন্ডল, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট রংপুরের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল মান্নান সরকার প্রমুখ।
এর আগে সকালে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয়ে বেলুন ও পায়রা উয়িয়ে দিবসের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। পরে সেখান থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।