কুমিল্লার হোমনায় অনুমতিবিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার অভিযোগ এনে অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মডেল স্কুল এন্ড কলেজ বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ সভা ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে উপজেলা ছাত্রলীগ। এর আাগে ১৫ জানুয়ারী অনুমতিবিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তি ও পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখতে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল উপজেলা প্রশাসন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা ওসি মো. আবুল কায়েস আকন্দ এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী রুহুল আমিনকে সঙ্গে বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেন। এ সময় ইউএনও বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত বিভিন্ন খোঁজখবর নেন।
রবিবার বিকেলে উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রতিবাদ সভা ও অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করে। সভায় ছাত্রলীগ নেতারা শিক্ষার্থীদের প্রলোভন দেখিয়ে ভর্তি বাণিজ্যের মাধ্যমে শিক্ষার মান ধ্বংস করা এবং অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মডেল ¯ু‹লে টিসিবিহীন ছাত্র ভর্তির বিষয়ে অধ্যক্ষের কাছে জানতে চাওয়ায় তিনি ছাত্রলীগ নেতাদের বখাটে বলার অভিযোগ করেন। সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভপতি ফয়সাল সরকার, সাধারণ সম্পাদক ফোরকানুল ইসলাম পলাশ, সহ-সভাপতি মাহফুজুল ইসলাম ও মাসুদ হাসান মিলন, যুগ্ম সম্পাদক আসহাক আল রাম্মা, সাংগঠনিক সম্পাদকশান্ত খন্দকার ও শেখ আজিজ, দপ্তর সম্পাদক মারুফ হাসান শান্ত, মাথাভাঙা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি লিটন মিয়া, ভাষানিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি তুষার আহমেদ নাঈম, দুলালপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মো. জুয়েল প্রমুখ।
গত ১৫ জানুয়ারী ইউএনও কর্তৃক জারী করা গণবিজ্ঞপ্তি ইউএনও চাপ্তি চাকমার স্বাক্ষরিত চিঠিতে চটকদার বিজ্ঞাপন,অর্থের প্রলোভনসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অনুমতিবিহীন যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তি করে পাঠদান কার্যক্রম চালু করছেন তা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে ।
অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন, আমরা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনামতে শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক পরিদর্শনও করে গেছেন। আমরা এর জন্য নিয়মানুযায়ী পরিদর্শন ফিসও জমা দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা বলেন, ট্রান্সফার সার্টিফিকেটবিহীন (টিসি) শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির অভিযোগ রয়েছে। টিসিবিহীন কোনো শিক্ষার্থীকে ভর্তি না করাতে এবং শিক্ষার্থীদের পছন্দের স্কুলে ভর্তির সুযোগ করে দিতে প্রতিষ্ঠানগুলোও যেন টিসি দিয়ে দেয়, সে ব্যাপারে দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ স্কুলের ব্যাপারে তিনি বলেন, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা বা চালু রাখা প্রশাসনের ব্যাপার নয়। নীতিমালা অনুসরণ করে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি।