মনিরামপুরে স্কুলের নতুন ভবনে কাজ করার সময় ভারা থেকে পড়ে আবদুল বারিক (৩৫) নামে এক নির্মাণ শ্রমিক এবং মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আবদুল ওয়াদুদ (৬০) নামে অপর এক কাঠ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারসহ স্থানীয়দের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে পড়েছে।
জানাযায়, পৌর এলাকার বিজয়রামপুর-বাঁধাঘাটা গ্রামের মৃত. হাফিজ উদ্দীনের পুত্র নির্মাণ শ্রমিক আবদুল বারিক পৌর এলাকার তাহেরপুর গ্রামে মনিরামপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনে কাজ করছিলেন। মঙ্গলবার বিকেলে সে অসাবধানতাবসত ভবনের ভারা থেকে পড়ে গিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হলে তাকে উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে রেফার করলে ঢাকায় নেয়ার পথে রাত আনুমনিক আড়াইটার দিকে তার মৃত্যু ঘটে। নির্মাণ শ্রমিক বারিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মোঃ বসু মোল্লা।
অপরদিকে একই দিন মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মনিরামপুর সরকারি কলেজের পাশে যশোর-সাতক্ষীরা মহা-সড়কে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আবদুল ওয়াদুদ গুরুতর আহত হন। তিনি পাশ্ববর্তী ফতেয়াবাদ গ্রামের মৃত. সোবহান বক্সের পুত্র। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসক তাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টার দিকে তার মৃত্যু ঘটে। কাঠ ব্যবসায়ী ওয়াদুদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নিস্তার ফারুক। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী এবং ২ ছেলেসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছে।
নিহত আবদুল বারিককে বুধবার জোহরবাদ এবং ওয়াদুদুকে আসরবাদ নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। উল্লেখ নিহত ওয়াদুদু সরদার মনিরামপুর প্রেসক্লাবের অর্থ-সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমানের মামা।