ওয়াসার পানির সঙ্গে মলের জীবানু খাচ্ছেন রাজধানীবাসী! এমন নিদারুণ নির্মমতার সংবাদ দেশ স্বাধীন হওয়ার ৪৯ বছরেও পড়তে হবে জানলে লোভ মোহহীন নিরন্তর রাজনীতিক- দেশপ্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ যুদ্ধে যেতেন না। যদি জানতেন- স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পার হয়ে যাওয়ার পরও অন্যায়-অপকর্ম-দুর্নীতি-স্বাধীনতা বিরোধীতা কমবে না, তাহলে তারা যুদ্ধ না করে ঘরে বসে থাকতেন, ঘৃণা জানাতেন। আজ যখন স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সকল ইচ্ছেকে কালো অন্ধকারে ঢেকে দিয়ে ভোট ও ভাতের অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে একটা শ্রেণি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে, তখন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যারা জীবীত, তারা বলছেন- আগে জানলে যুদ্ধে তো যেতামই না ঘরে বসে অন্যদের মত আরাম করতাম।’ এমন আক্ষেপের রাস্তা যেন তৈরি না হয়, সেই লক্ষ থেকে কাজ করতে হবে বাংলাদেশের রাজনীতি-শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি সহ সর্বস্তরের জনগনকে।
তা না হলে কিন্তু আগামী হবে ভয়ংবকর। যেমন রাজধানীর প্রায় প্রতিটি এলাকায় পানি সমস্যা দীর্ঘদিনের। দিনে দিনে সেই সমস্যা অসহনীয় হয়ে উঠছে। এই পানিতে পোকামাকড়ের পাশাপাশি রয়েছে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া, বিষাক্ত অ্যামোনিয়া। এছাড়া পাওয়া গেছে মলের জীবানুর অস্তিত্ব। যাদের সাধ্য ও সামর্থ্য আছে তারা দূর থেকে সংগ্রহ কিংবা কিনে পান করছেন পানি। সাধ্যের গন্ডি পেরোতে না পেরে অনেকে বাধ্য হয়ে পান করছেন এই দূষিত পানি। নগরবাসীর অন্তহীন অভিযোগেও ওয়াসার টনক না নড়ায় তা গড়ায় আদালতে। ঢাকা ওয়াসার ১০টি মডস জোনের মধ্যে চারটি এবং সায়েদাবাদ ও চাঁদনি ঘাট এলাকা থেকে সংগৃহীত পানির আটটি নমুনাতে দূষণ পেয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত কমিটি। ঝুঁকিপূর্ণ ৩৪টি স্থান থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে তা আইসিডিডিআরবি, বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে আটটি নমুনাতে পাওয়া যায় প্রচন্ড মাত্রার দূষণ। আর বিশ্বব্যাংকের তথ্য মতে, দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ অনিরাপদ উৎসের পানি পান করে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি রাজধানীর মানুষ। বেশি ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে পাইপের সাহায্যে আসা পানিতে। পাইপ সংস্কার কিংবা পরিবর্তন এক যুগেও করতে দেখেনি বাসিন্দারা। যদিও চোরের মার বড় গলার মত করে- ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার না করলেও এর জন্য ব্যবহারকারীদের উদাসীনতা আর সড়ক খোঁড়াখুঁড়িকে দায়ী করছেন।
কিন্তু বাস্তবতা হলো- ওয়াসার সরবরাহ করা ময়লা-দুর্গন্ধময় পানি পান ও ব্যবহার করে ডায়রিয়া, আমাশয়সহ পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন নগরবাসী। অধিকাংশ এলাকার ওয়াসার সরবরাহ করা পানিতে প্রকট দুর্গন্ধ, কালছে ও ময়লাযুক্ত। এ পানি পান করা তো দূরের কথা, গোসল, অজু করার পর শরীরে দুর্গন্ধ হয়। এ পানি কাপড় ধোয়া, রান্না করা, হাঁড়ি-পাতিল ধোয়া ও রান্নার কাজে ব্যবহারের অযোগ্য। নগরবাসী পানি কিনে ও দূর-দূরান্ত থেকে পানি সরবরাহ করেন। কেউ আবার এ ময়লাযুক্ত পানি ফুটিয়ে খাওয়া, গোসলসহ পানি সংক্রান্ত অন্যান্য কাজ সারছেন। পাইপগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এতে পানির নতুন লাইন বা সংযোগ নিতে সমস্যা হচ্ছে। অনেকে পুরনো সংযোগ খুলে নতুন সংযোগ নেয়ার পর পুরনো লাইনটি বন্ধ করেনি। এতে যখন লোডশেডিং হয়, তখন ওয়াসার পাইপে স্যুয়ারেজের ময়লা পানি পাইপে প্রবেশ করে। এতে পানিতে প্রচুর ময়লা ও দুর্গন্ধ হয়। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বৈধ পানির লাইনের চেয়ে অবৈধ লাইনের সংখ্যা বেশি। ওয়াসার অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে এসব চলে আসছে যুগের পর যুগ। তবু বারবার পানির দাম বাড়ানোর পায়তারা চলছেই। ২০১১ সালের কথা মনে গেলো। সে বছর ঢাকা ওয়াসার বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন পাওয়ার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান মহাজোট সরকারের মাত্র দুই বছরেই রাজধানীতে পানির দাম বাড়নো হয় ৩ টাকা। অন্যদিকে তার আগের ২৫ বছরে পানির দাম বেড়েছে মাত্র ৪ টাকা। ওয়াসার হিসেবে ১৯৮২ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত পানির দাম বেড়েছে ১৭ বার। ১৯৮২ সালে এক ইউনিট (আবাসিক) পানির দাম ছিল এক টাকা দশ পয়সা। ২০০৭ সালে তা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় পাঁচ টাকা পঁচিশ পয়সায়। আর গত দু' বছরে পানির দাম বেড়ে হয় ৬ টাকা ৩৪ পয়সা। ওয়াসার ১৭৪ তম বোর্ড সভার সুপারিশ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেয়ে প্রতি ইউনিট (এক হাজার লিটার) পানির দাম বেড়ে হয় প্রায় ৮ টাকা। একদিকে পানির তীব্র সংকট, অন্যদিকে পানিতে মারাত্মক দুর্গন্ধ। তার উপর আবারো পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো ঢাকা ওয়াসা। সেবার এক লাফে ২০ শতাংশ হারে আবাসিক গ্রাহকদের বিল বাড়ানো হয়। সেটি ছিলো বর্তমান আওয়ামী মহাজোট সরকারের দুই বছরে চতুর্থবারের মত পানির দাম বাড়ানোর সাফল্য! সংস্থাটির ১৭৪ তম বোর্ড সভার সুপারিশের ভিত্তিতে পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এটি অনুমোদনের জন্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে ফাইল পাঠানো হয়েছিলো। চিঠিতে প্রতিবছর ইউনিট প্রতি এক টাকা দাম বাড়ানো এবং তা পরবর্তী ৫ বছর ধরে অব্যাহত রাখারও অনুমতি চাওয়া হয়।
তখনও নির্লজ্জ এমডি বলেছিলেন, গ্রাহকদের কাছ থেকে এখন যে দাম নেয়া হচ্ছে তা উৎপাদন খরচের অনেক কম। এ জন্যে দাম বাড়ানো ছাড়া কোন বিকল্প নেই। এছাড়া ভবিষ্যতে ভূগর্ভস্থ পানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। তাই আরো কয়েকটি শোধনাগার নির্মাণ করতে হবে। এর জন্যে বিপুল পরিমাণ টাকার প্রয়োজন। পানির দাম না বাড়ালে এসব প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। এমডি আরো বলেন, ওয়াসা বোর্ড নিজস্ব ক্ষমতা বলে ৫ শতাংশ পানির দাম বাড়াতে পারে। এই ক্ষমতা সংশোধনের জন্যেও মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে এ নিয়ে আটবারের মত পানির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অতিত বলছে- ২০০৯ সালে একবার এবং পরের বছরে দুইবার পানির দাম বাড়ানো হয়। তার মাত্র ৮ মাস আগে অর্থাৎ গেল বছরের ১ জুলাই থেকে ঢাকা ওয়াসা সর্বশেষ তাদের সকল প্রকার গ্রাহকদের জন্য পানির দাম শতকরা পাঁচ ভাগ বৃদ্ধি করেছে। আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসার সময় এক হাজার লিটার (প্রতি ইউনিট) পানির দাম ছিল ৫ টাকা ২৫ পঁচিশ পয়সা। এরপর গত দু' বছরে পানির দাম বেড়ে হয় ৬ টাকা ৩৪ পয়সা। এবার বোর্ড সভার সুপারিশ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেলে আবাসিক প্রতি ইউনিটের দাম হবে প্রায় ৮ টাকা। শিল্প ও বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিট পানির মূল্য ছিল ১৯ টাকা ১৫ পয়সা। এর কয়েক মাস পর আবারো শিল্প ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও দাম বাড়ানো হয়। যা বেড়ে হয়েছে ২১ টাকা ১২ পয়সা। এক হিসেবে দেখা যায়, ১৯৮২ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ২৫ বছরে পানির দাম বেড়েছে ১৭ বার। আর গত দুই বছরে বাড়ছে ৪ বার। ১৯৮২ সালে এক ইউনিট (আবাসিক) পানির দাম ছিল এক টাকা দশ পয়সা। ২০০৭ সালে তা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় পাঁচ টাকা পঁচিশ পয়সায়। এছাড়া বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্যেও আগের দামের বিপরীতে ২০ শতাংশ হারে পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ঢাকা ওয়াসা নগরবাসীকে নিয়মিত সুপেয় পানি সরবরাহ করার জন্যে তেমন কোনো উদ্যোগ না নিলেও পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রতি বছরই নিয়ে যাচ্ছে। নগরবাসীর জন্যে এটা ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা'-এর মতোই। আমি মনে করি- এমনিতেই পানি দিতে পারে না ওয়াসা। তার উপর সারা বছরই পানি থাকে কমবেশি দূষিত, ময়লা-আবর্জনাযুক্ত এবং কখনো কখনো দুর্গন্ধময়। ওয়াসার সরবরাহ করা পানি পান করা দূরে থাক, কখনো কখনো তা গোসল করার উপযোগীও থাকে না। পোকামাকড় আর কেঁচোর উপস্থিতি নিয়মিতই দেখা যায়। এই যখন ওয়াসার সেবার মান, তখন দফায় দফায় পানির দাম বাড়ানো জবরদস্তির মত। পানির দাম বাড়ানোর আগে তাদের ভাবা উচিত ছিল, তারা আমাদের কী মানের পানি সরবরাহ করছেন। আর গ্রাহকরা পানি পাচ্ছে কি-না তাও দেখার দরকার ছিল। বিদ্যুতের দাম বেড়েছে বলে পানিরও দাম বাড়াতে হবে তার কোন যুক্তি নেই। তাছাড়া ওয়াসার কর্মকর্তাদের বর্ধিত বেতনের টাকা আদায় করতে পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কতটা যৌক্তিক আমি জানি না, জানেন না দেশের সাধারণ মানুষ। শুধু জানি- নাগরিক সেবার মান না বাড়িয়ে কর্মকর্তাদের বেতনের অর্থ সংগ্রহের জন্য পানির বিল বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি ও বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাওয়া এবং ভবিষ্যতে ভূ-উপরিস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ানোর অর্থ সংগ্রহের জন্য পানির দাম বাড়ানো হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
অথচ এই অযৌক্তিক রাস্তাটিই বেছে নিয়েছে ওয়াসা। ২০২০ সালে এসে আবাসিকে প্রতি হাজার লিটার ২০ টাকা এবং বাণিজ্যিক ও শিল্পে ৬৫ টাকা করছে। তাতে ঢাকা ওয়াসার পানির দাম বাড়িয়ে প্রায় দ্বিগুণ করা হচ্ছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ এসেছে। এরই মধ্য দিয়ে নগরীর সব এলাকায় নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি দিতে না পারার অভিযোগের মধ্যেই এ দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হল। এটি বাস্তবায়িত হলে ওয়াসার পানির বিলের বিশাল খক্ষ নগরবাসীর ওপর চেপে বসবে। আবাসিক সংযোগে প্রতি ১ হাজার লিটার পানির বর্তমান মূল্য ১১ টাকা ৫৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে করা হচ্ছে ২০ টাকা। আর বাণিজ্যিক ও শিল্প সংযোগে প্রতি হাজার লিটার পানির বর্তমান মূল্য ৩৭ টাকা ৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৬৫ টাকা। অর্থাৎ আবাসিকে প্রতি হাজার লিটার পানির দাম বাড়ছে ৮ টাকা ৪৩ পয়সা এবং বাণিজ্যিক ও শিল্পে পানির দাম বাড়ছে ২৭ টাকা ৯৬ পয়সা। যেটা বর্তমান মূল্যের প্রায় দ্বিগুণ। বর্তমানে ওয়াসার বাৎসরিক পানির গড় বিল করা হচ্ছে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা; সেটা বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। ঢাকা ওয়াসার পানির বিলের সমান পয়ঃনিষ্কাশন বিল। এ জন্য পানির দাম দ্বিগুণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পয়ঃনিষ্কাশন বিলও দ্বিগুণ হয়ে যাবে। কাগজে-কলমে পুরান ঢাকা, ধানমন্ডি- মোহাম্মদপুরসহ আশপাশের এলাকা, বাসাব-গেন্ডারিয়াসহ আশপাশের এলাকা, গুলশান-বনানী-বারিধারা, মতিঝিল, মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, মগবাজার এলাকা, দনিয়া-শ্যামপুরসহ আশপাশের ৮৮২ কিলোমিটার পয়ঃনিষ্কাশন লাইন এবং এর সঙ্গে সংযোগ রয়েছে ৬১ হাজার ৩৪৯ জন গ্রাহকের লাইন। কিন্তু, বাস্তবে অধিকাংশ এলাকায় ঢাকা ওয়াসার পয়ঃসংযোগ লাইনের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। কেননা, দীর্ঘ সংস্কার না করায় এসব সংযোগ অকেজো হয়ে গেছে। এরপরও বর্তমান মূল্য অনুযায়ী ওয়াসা এসব গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা লুটে নিচ্ছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। পানির সমান পয়ঃবর্জ্যে দাম বাড়ায় সেটা দাঁড়াবে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। যেখানে যে নগরে চরম পানি সংকট, সেখানে, সেই নগরে পানিতে দুর্গন্ধ থাকা স্বত্বেও কোন ক্ষমতার বলে দাম বাড়ানোর চেষ্টা চলছে! না কি সরাসরি গণভবন থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- দাম বাড়াও!
তিনি তো এমনটি বলার কথা নয়; তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু। বাঙালি জাতির মিতার মেয়ে তিনি, আশা করবো যারা এই জাতির সাথে শত্রুতা করে দ্রব্যমূল্য, পানিরমূল্য, বিদ্যুতের মূল্য বাড়াবে ভর্তুকি দিয়ে হলেও তিনি তা প্রতিহত করবেন। তার উদারতার হাত দিয়ে ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোর চেষ্টাটি অন্তত ব্যহত হবে বলে আমি আশা করি। কেননা, তিনি জানেন যে, ওয়াসার সাধারণ পিয়নও এখন কোটি টাকার মালিক হয় দুর্নীতির ঘোড়ায় চড়ে...
মোমিন মেহেদী : চেয়ারম্যান, নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি