যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের বাসিন্দা ফল ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের কাছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ৭০ হাজার টাকা চাঁদার দাবি করেছে। ইতোমধ্যে তাকে মারপিট করে ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়েছে। সন্ত্রাসীদের অব্যাহত জীবন নাশের হুমকিতে সে ঘর থেকে বের হতে পারছে না। জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে নজরুল ইসলাম অবশেষে আদালতে মামলা করেছেন। মামলায় আসামি করেছেন, তার পূর্বের পরিচিত যশোরের চৌগাছা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের সন্তোস দফাদারের ছেলে রফিকুল ইসলাম, চৌগাছার দুলনপুর নিমতলা গ্রামের মন্টু মালিথার স্ত্রী ফেলী বেগম, ছেলে মুকুল, শুকুর আলী এবং একই উপজেলার চানপুর গ্রামের আতর আলীর মেয়ে রহিমা বেগম।
নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে দায়েরকৃত মামলায় উল্লেখ করেছেন, আসামিরা চিহ্নিত চাঁদাবাজ। তারা ইতঃপূর্বে বিভিন্ন লোকজন ও তার কাছে বেপরোয়া ভাবে চাঁদাবাজি করে আসছে। এমনকি সম্প্রতি ওই চাঁদাবাজরা তার যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মাঝের গেটের সামনে ফলের দোকানে এসে ৭০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এ চাঁদার টাকা না দেয়ায় তারা জীবন নাশের হুমকি দেয়। গত ২৩ জানুয়ারি সকালে শহরের মোমিন গালর্স স্কুলের পাশে নজরুল ইসলামকে পেয়ে চাঁদাবাজরা তাকে বেধড়ক মারপিট করে পকেট থেকে ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। মামলার স্বাক্ষীরা এগিয়ে আসলে চাঁদাবাজরা বাকী টাকার জন্য ১৫দিনের মধ্যে দেয়ার হুমকি দিয়ে বলেন,টাকা না দিলে তাকে জীবনে শেষ করা হবে। তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। এরপর ভয়ে নজরুল ইসলাম বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না। এ ছাড়া ফলের ব্যবসা করতে পারছে না। এ ছাড়া মামলার অন্যতম নারী সন্ত্রাসী রহিমা বেগম একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। ইতোপূর্বে ইয়াবাসহ তিনি বেশ কয়েকটি থানায় গ্রেফতার হয়েছেন বলে নজরুল ইসলাম দাবি করেছন। মাদক মামলায় রহিমার ইতঃপূর্বে ১ বছরের সাজা হয়। এসব চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষা পেতে ১৫ জানুয়ারি ফল বিক্রেতা নজরুল ইসলাম প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করেন। যা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।