খুলনা জেলার কয়রা উপজেলায় এই প্রথম রাবেব মত মাঠে চাষ হলো ক্যান্সার প্রতিরোধক সবজি ব্রকলি। এই সবজি চাষে কয়রার কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। সরেজমিনে ঘুরে কথা বলে জানা গেছে, প্রথম রাবেব মত উপজেলার কয়রা সদরের ৩নং কয়রা গ্রামের কৃষক রবিন্দ্রনাথ ঢালী শীতকালীন এই সবজি চাষ করেছেন। ফলন ও হয়েছে আশানুরুপ। প্রচুর পুষ্টিকর সমৃদ্ধ হওয়া সত্বেও এই সবজিতে এখন ও অভাস্ত নয় এলাকার মানুষ। কৃষক রবিন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, ব্রকলির পুষ্টি গুন প্রচুর। গবেষকরা ব্রকলি কে বলছেন আল্টিমেট ক্যান্সার ফুড। রোজ ব্রকলি খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধ হয়। ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম ও ফাইবারে পরিপুর্ন। ব্রকলি যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যান্ত উপকারী। ব্রকলির মধ্যে রয়েছে সালফরফেন। যা ক্যানসার রুখতে উপকারী। লো ক্যালরির এই সবজি হার্ট ভাল রাখতেও উপকারী। তিনি আরও বলেন আমি প্রথম রারের মত ব্রকলি চাষ করেছি। এটা দেখতে ফুলকপির মত হলেও ফুল গুলো সাদার পরিবর্তে পাতার রংয়ের মত গাড় সবুজ। আলাপকালে কৃষক রবিন্দ্রনাথ বলেন কৃষি গবেষণার সহায়তায় চারা সার, বীজ এবং পরামর্শ পেয়ে আমি ব্রকলি চাষ করতে পেরেছি এতেই খুব খুশি। ফুল কপির থেকে কেজি প্রতি ২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে পেরেছি। রবিন্দ্রনাথের দেখাদেখি অনেকে ব্রকলি চাষ করতে আগ্রহী হয়ে উঠছে। সরেজমিন গবেষণা বিভাগ এমএলটি সাইট এর বৈজ্ঞানিক সহকারী মোঃ জাহিদ হাসান বলেন আমরা ৩টি জাতের ব্রকলি উপযোগিতা যাচাইয়ের জন্য ব্রকলি চাষ শুরু করেছি। এতে একটি জাতের ব্রকলি চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছি। সরেজমিন গবেষনা বিভাগ খুলনার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.মোঃ হারুনর রশিদ বলেন, ব্রকলির বীজ অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে বীজতলায় বীজ বপন করা হয়। পরে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে মুল ক্ষেতে রোপন করা হয়। ৭৫ থেকে ৮৫ দিনের মধ্যে এতে ফুল আসে। তিনি আরও বলেন মেধাবিকাশ, চোখের দৃষ্টি, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন, রক্তের সঞ্চালন বৃদ্ধি সহ মানব দেহের স্বাভাবিক পুষ্টি বজায় রাখার পাশাপাশি ব্রকলি অর্থনৈতিক লাভজনক ফসল এটি চাষ করার জন্য স্থানীয় কৃষকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।