চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় শত ্শত একর ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল ) বিক্রির হিড়িক পড়েছে। গ্রীষ্ম মৌসুমের প্রারম্ভেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমির টপসয়েল কেটে বিক্রি করে দেওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ার মত। অথচ সরকারের বিধি নিষেধ থাকলেও কোন অদৃশ্য কারণে নির্বিঘেœ ফসলি জমি এবং পাহাড়ী ভূমির মাটি কেটে ট্রাকে ট্্রাকে বিক্রি হচ্ছে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে পড়ছে না। এতে করে জমির উর্বরতা শক্তি হ্রাস পাচ্ছে। যার কারণে বর্ষা মৌসুমে প্রচুর পানির নীচে তলিয়ে যায় এসব ফসলি জমিগুলো এবং দিন দিন কমে যাচ্ছে ফসলি জমির পরিমাণ। কৃষিবিদদের মতে জমির উপরিভাগ বা টপসয়েল হচ্ছে জমির উর্বরতা শক্তি। মাটি কেটে নেওয়ার কারণে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পেতে সময় লেগে যায় প্রায় এক যুগ। জানা যায়, বর্ষা মৌসুম শেষে গ্রীষ্মের প্রারম্ভে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমি কিংবা পাহাড়ী মাটি সংগ্রহে নেমে পড়েন একটি কুচক্রী মহল। মাটি সুন্দর ও মজবুত হওয়ার কারণে ইটভাটার মালিকরা কুচক্রীদেরকে লেলিয়ে দেন ফসলি জমির মাটি সংগ্রহে। অসচেতনার কারণে নিরহ কৃষক বা জমির মালিকদের পুঁষলিয়ে এ চক্রটি কম টাকায় ফসলি জমি ,পাহাড়ি ভূমির মাটি ক্রয় করে বেশী টাকায় শত শত ট্রাক ভর্তি করে মাটি ইটভাটায় কিংবা ভিটা বাড়ি ,পুকুর ভরাট কাজে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। যে কারণে বর্ষা মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জলবদ্ধতার পাশাপাশি জমিতে আর ধান উৎপাদন করা দুর্সাধ্য হয়ে পড়ে। উপজেলার জোয়ার এলাকার স্থানীয় কৃষক ফজল আহমদ ও বরকলের নুরুল আলম জানান,একটি জমির মাটি বিক্রি করে দিলে তার গভীরতার কারণে আশ-পাশের জমির মাটি ও বাধ্য হয়ে বিক্রি করে দিতে হয়। অন্যতায় বর্ষার সময় উপরি জমির মাটি ভেঙ্গে পড়ে। এতে ওই জমি চাষাবাদের অযোগ্য হয়ে পড়ে। উপজেলার হাশিমপুর ,জোয়ারা ,বরকল, জামিজুরী ও সাতবাড়িয়া এলাকায় ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে বিভিন্ন ইটভাটায় ও ভিটা-বাড়ি ভরাট কাজে সরবরাহ করা হচ্ছে। মাটি ভর্তি ট্রাক চলাচলের কারণে সড়কগুলো বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। ধূলোবালি কারণে পরিবেশ দুষণের পাশাপাশি সড়কের দুইপার্শ্বের পরিবারগুলো দুর্ভোগের পোহাতে হচ্ছে। হাশিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলমঙ্গীরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, যত্রতত্র মাটি কাটা নিয়ে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি)নিবেদিতা চাকমা বলেন ,বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে এবং এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।