চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলায় দুর্যোগসহনীয় সরকারি ঘর নির্মানে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।ঘর নির্মানে অর্থ বাণিজ্য আর নিন্মমানের সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে।এদিকে সরকারি ভাবে বিনামুল্য দরিদ্রদের মাঝে ঘর দেওয়ার কথা থাকলেও ঘরের সুবিধাভোগীদের নিকট থেকে মোটা অংকের অর্থনিয়ে ঘর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল কাদের প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘরের সুবিধাভোগী দিনমজুর বাঁকা ইউনিয়নের সুটিয়া গ্রামের রিপন মন্ডল অভিযোগ করে বলেন ,কাদের চেয়ারম্যানের নিকট ঘরের জন্য ৪৭ হাজার টাকা দিয়ে ছিলাম টাকা নিয়ে ঘর দিলেও ঘরের কাজে নিন্মমানের মালামাল দিয়ে ঘর বানিয়েছে। যে ঘর নির্মান করছে তা এক মাসের মধ্যে নষ্ঠ হয়ে পড়ে যাবে। নিয়মনুযায়ী ঘর নির্মান না করায় আমি জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। অযিুক্ত চেয়ারম্যান আবদুল কাদের বলেন তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা মিথ্যা।তিনি ঘর দেওয়া বলে কারো কাছ থেকে কনো টাকা নেননি।এ দিকে শুধু বাঁকা ইউনিয়ন নয় উপজেলার কে.ডি.কে,রায়পুর,আন্দুলবাড়িয়া সহ ৮টি ইউনিয়নে সরকারি ঘর নির্মান কাজে চলছে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতি।সরকারি নিয়মনুযাী প্রতিটি ঘর নির্মান করার জন্য ৮হাজার ইট,৫৬বস্তা সিমেন্ট ,পাকশির বালি ব্যবহার করার কথা থাকলেও সেখানে সাড়ে ৬হাজার ইট,৪৫বস্তা সিমেন্ট আর নিন্মমানের বালি ব্যবহার করা হচ্ছে।এবং ঘর ভরাটের জন্য মাটি দেওয়ার কথা থাকলেও ঘরের সুবিধাভোগীদের নিকট মাটির টাকা ও বালির টাকা নেওয়া হচ্ছে।আর টাকা না দিলে ঘরের সামনে থেকে মাটি কেটে ঘর ভরাট করা হচ্ছে। এদিকে ঘর নির্মানে এত অনিয়ম ও দুর্নীতি হলেও জীবননগর উপজেলা পি আই ও কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম ও অফিস সহকারী সাইফুল ইসলাম এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি। ২০১৯ ও ২০২০ অর্থ বছরে জীবননগর উপজেলায় ৫৩জন অসহায় দরিদ্রদের মাঝে টি-আর ঘর নির্মানের বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। জীবননগর পিআইও কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলামের সাথে কথা বলার জন্য অফিসে গেলে তিনাকে অফিসে পাওয়া যায়নি অফিস সহকারি সাইফুল ইসলামকেও পাওয়া যায়নি। ফোনে আলাপ করার চেষ্ঠা করা হলেও কেউ ফোনটি রিসিফ করেননি।জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন,বাঁকা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঘর দেওয়ার নাম করে ৪৭হাজার টাকা নেওযার একটি লিখিত অভিযোগ রয়েছে।এটা তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।আর যে সমস্থ ঘর নির্মানে নিন্মানের মালামাল ব্যবহার করা হচ্ছে সে গুলো পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সরকারি নিয়মনুযায়ী এবং যে পরিমানে অর্থ বরাদ্ধ আছে সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে।তা না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।