শ্রীমঙ্গলের হোসেনাবাদ চা-বাগান এলাকা থেকে একটি বিলুপ্তপ্রায় লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করেছে বন্যপ্রাণী সেবা ফাউ-েশন। আজ সকালে শ্রীমঙ্গলে অবস্হিত বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউ-েশনের পরিচালক সজল দেব এটিকে উদ্ধার করে বন্যপ্রাণী সেবা কেন্দ্রে নিয়ে আসেন।
শ্রীমঙ্গলে অবস্হিত বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউ-েশনের পরিচালক সজল দেব জানান, গতকাল সন্ধ্যায় শ্রীমঙ্গল উপজেলার হোসেনাবাদ চা-বাগানেরর জনৈক হেলাল মিয়া লোকালয়ে চলে আসা লজ্জাবতী বানরটিকে ধরে বন্যপ্রাণী সেবা ফাউ-েশনে খবর দেয়।
পরে সোমবার সকালে ফাউ-েশনের পরিচালক সজল দেব হোসেনাবাদ থেকে লজ্জাবতী বানরটি উদ্ধার করে বন্যপ্রাণী সেবাকেন্দ্রে নিয়ে আসেন। এটি এখন বন্যপ্রাণী সেবাকেন্দ্রে রয়েছে। সুবিধাজনক সময়ে এটিকে কোন রিজার্ভ ফরেষ্টে ছেড়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সজল দেব।
জানা যায়, লজ্জাবতী বানর নিশাচর প্রাণী। এটি এখন বিরল ও বিলুপ্তপ্রায়। শুধু রাতের বেলা চলাচল করে বলে এদের সন্ধান পাওয়া কঠিন।
লজ্জাবতী বানরের আকৃতি অদ্ভুত। পেঁচার মতো যুগল চোখ রাতের স্বল্প আলোতে চলাচলের জন্য বিশেষ উপযোগী। এরা চোখের পরিধি কমাতে বা বাড়াতে পারে এবং গাছের ডালে ঝুলে ঝুলে চলে। দিনভর গাছের কোটরে বা বড় বড় ডালের গোড়ায় যেখানে রোদের আলো প্রবেশ করে না সেখানে লুকিয়ে থাকে। দিনের বেলা চোখ, কান, ঠোঁট বুকের মাঝে গুজে রাখে। লেজও গুটিয়ে নেয়।
এদের কব্জির বন্ধন এত শক্ত যে, গাছে ঘুমিয়ে পড়লেও পড়ে যায় না। এমনকি টেনেও ছুটানো যায় না। সন্ধ্যা হবার সাথে সাথে এরা খাবার সংগ্রহে বের হয়। ফল, পাতা, কীটপতঙ্গ খেয়ে থাকে। স্ত্রী লজ্জাবতী বানর বছরে একবার একটি বাচ্চা দেয়।
এদের চোখ ও মাথা গোলাকার এবং দৈর্ঘ্যে প্রায় একফুট। লেজ ছোট। সারাদেহ ঘন লোমে আবৃত। গহীন বনের বাসিন্দা লজ্জাবতী বানর অত্যন্ত শান্ত ও নিরীহ।