শখের বসে হাইব্রিড জাতের স্কোয়াশ চাষে সাফলতা পেয়েছে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ডুগুরপাড়া গ্রামের মতিয়ার, আঃ হাই ও নুরনবী নামের ৩ জন কৃষক। খেতে সুস্বাদ পুষ্টিগুনে ভরা এ স্কোয়াশ চাষে ফলন ও দাম দুটিই ভাল পাওয়ায় এখন লাভের মুখ দেখছেন তারা।
কৃষি অফিস বলছেন, বীজ বপনের ৮০ থেকে ৮৫ দিনেই বাজারজাত করা যায় স্কোয়াশ সবজি। কোয়াশ দেখতে অনেকটা বাংগি ও উপরের রং দেখতে কুমড়ার মত হলেও ভিতরে সাদা। এক থেকে দেড় ফুট লম্বা এক একটি স্কোয়াশ ৩ থেকে ৪ কেজি ওজনের হয়। প্রতি বিঘায় ফলন হয় শতাধিক মন । ডুগুরপাড়া গ্রামের ঐ তিন কৃষক জানান, এবারই প্রথম স্কোয়াশ সবজি চাষ করেছেন। ফুল ও ফলে ভরে গেছে স্কোয়াশ ক্ষেত। প্রথমে এলাকার মানুষ তুচ্ছ ত্যাচ্ছিল্য করলেও এখন প্রতিদিন তাদের স্কোয়াশ ক্ষেত দেখতে আসছে অনেকেই ,তারা কিনেও নিচ্ছে।
স্কোয়াশ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন অনেকে। ডুগুরপাড়া গ্রামের কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, তিনি এবার ৫৫ শতক জমিতে স্কোয়াশ চাষ করেছেন। তার সর্বমোট ৩৮হাজার টাকা খরচ হলেও এ যাবৎ বিক্রি করেছেন প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। তবে এই ক্ষেত থেকে আরো দেড় থেকে ২ লক্ষ টাকার স্কোয়াশ সবজি বিক্রির আশা করছেন। সংশ্লিষ্ট এলাকার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহ আলমগীর হোসেন বলেন, স্কোয়াশ ক্ষেতে তেমন পোকামাকড়ের আক্রমন নেই বললেই চলে। ক্ষেতে সেক্স ফেরেমিন ফাঁদ ব্যবহার করা আছে, ফলে পোকামাকড়ের কোন বিষ প্রয়োগ করতে হয়না। এটি মিস্ট কুমড়ার চেয়ে পুষ্টিগুনে অনেক ভাল।
জয়পুরহাটের নতুনহাট বাজারে স্কুয়াস সবজি বিক্রেতা মুকুল হোসেন জানান ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি নিজেও ২ বিঘা জমিতে এই সবজি চাষ করেছেন। তিনি বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে এই সবজি চাষে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি বিঘায় এই সবজি বিক্রি হয় প্রায় দু’লাখ টাকা। তিনি প্রতি কেজি স্কুয়াস সবজি বিক্রি করছেন ২০ টাকায়।
পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফর রহমান বলেন, উপজেলায় বানিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে স্কোয়াশ চাষ। চাষীদের প্রশিক্ষন পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়ায় স্কোয়াশ চাষে আগ্রহ বাড়ছে । আগামীতে উন্নত জাতের এ স্কোয়াশ চাষ বাড়ার আশা করেন তারা। একাধিক গুনাগুন ও চাহিদা সম্পন্ন হওয়ায় জনপ্রিয়তা বাড়ছে স্কোয়াশের।