উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো বর্জন করেছে মুক্তিযোদ্ধারা।
শুক্রবার প্রথম প্রহরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘটনা ঘটে।
মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ, স্বাধীনতার পর থেকে স্থানীয় প্রশাসনের পর মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিটি দিবসে স্মৃতি সৌধ ও শহীদ মিনার ফুলেল শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ হয়। কিন্তু এবার উপজেলা প্রশাসনের পর স্থানীয় পুলিশকে ২য়, মুক্তিযোদ্ধাদের ৩য় নাম্বারে ঘোষণা করে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানোর কথা বলেন। এমন ঘোষণার পর মুক্তিযোদ্ধাদের মানক্ষুন্ন করা হয়েছে এবং তাদের হেও প্রতিপন্ন করা হয়েছে বলে মুক্তিযোদ্ধারা মনে করেন। ফলে শহীদ মিনার ত্যাগ করে ফুল দেয়া বর্জন ঘোষণা করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডা কার্যালয়ে চলে আসেন।
মুক্তিযোদ্ধা সফিকুল ইসলাম, সলেমান আলীসহ কয়েকজন বলেন, ইউএনও'র নতুন নিয়ম আমরা মানিনা। আমরা শহীদ মিনারে ফুলের শ্রদ্ধা দেওয়া বর্জন করলাম।
এমন ঘোষণার পর শহীদ মিনার ও ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে আসা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মাঝে বিষয়টি সমালোচিত হয়।
রাত সাড়ে ১২টার সময় ইউএনও খায়রুল আলম সুমন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের কার্যালয়ে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের পুনরায় ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে বলেন। রাত ১টা পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা প্রদান করেননি।
উপস্থিত সুধী জনেরা জানান, মুক্তিযোদ্ধারা দেশের বীর সন্তান। তাদের অগ্রাধিকার সবার আগে। এমনটা করা ইউএনও'র উচিত হয়নি।
বালিয়াডাঙ্গী প্রেস ক্লাবের সভাপতি এন এম নুরুল ইসলাম বলেন, মুজিব বর্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের গুরুত্ব না খুবই নিন্দনীয় কাজ। আশা করছি বিষয়টি তদন্ত করবে প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল আলম সুমন তাৎক্ষনিক সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।