পাবনার চাটমোহর সরকারি কলেজের সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমান নিয়ম বহির্ভূতভাবে জোরপূর্বক দায়িত্ব পালন করছেন মর্মে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার মোহাম্মদ রায়হান প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাবনা জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত পত্র দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার মোহাম্মদ রায়হান গত ১৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর দপ্তরের ০৫.৪৩.৭৬২২.০০০.১৩.০২৬,২০-২২৯ নং স্মারকপত্রে বলেছেন,‘চাটমোহর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ েেমাঃ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সি আর ৩০৬/২০১৯ (চাটমোহর) ধারা ৩৭৯/৪০৬/৪২০ মোতাবেক একটি মোকদ্দমা হয়। ওই মোকদ্দমায় গত ২৬/০১/২০২০ তারিখে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এ কারণে এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির কারণে শিক্ষা মন্ত্রনালয়,সরকারি কলেজ-৩ অধিশাখা কর্তৃক জারিকৃত স্মারক নং ৩৭.০০.০০০০.০৬৮.২৭.০০২.২০-৬০/১ (৮),তারিখ ০৫/০২/২০২০ মূলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কিন্তু তিনি ওই আদেশ অমান্য করে পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ইসমাইল হোসেন ভুইয়ার প্রত্যায়ন নিয়ে দাবি করেন তার বরখাস্ত আদেশ ৩ মাসের জন্য স্থহিত হয়েছে। কিন্তু অদ্যাবধি মহামান্য হাইকোর্ট হতে এতদ্সংক্রান্ত কোন আদেশ পাওয়া যায়নি। এদিকে সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমান হাইকোর্টের কোন আদেশ উপস্থাপন না করেই অদ্যাবধি তিনি অফিস পরিচালনা করছেন। গত ১৭/০২/২০২০ তারিখে অধ্যক্ষ একটি আর্থিক ফাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট উপস্থাপন করেন। কিন্তু হাইকোর্টের ও মন্ত্রনালয়ের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা না পাওয়ায় ওই ফাইল ইউএনও কর্তৃক স্বাক্ষর না করে ফেরত দেওয়া হয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের তথ্য উপস্থাপন না করে জোরপূর্বক দায়িত্ব পালন করা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য ও অসদাচরণের সামিল।’ ইউএনও এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাবনা জেলা প্রশাসকের নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য চাটমোহর সরকারি কলেজের সাময়িক বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমানের সাথে বারবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।