কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার দায়ের করা এক বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষন মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন কারা দ-ের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন আদালত।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মো: মশিয়ার রহমান আসামীদের অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষনা করেন।
দ-প্রাপ্তরা হলেন- দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে রানা হোসেন এবং সোহেল রানার স্ত্রী বেলী খাতুন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১০ নভেম্বর ওই বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ফুসলাইয়া ডেকে নিয়ে আটকে রেখে বেলী খাতুনের সহযোগিতায় রানা হোসেন তিনদিন ধরে ধর্ষন করে। এ ঘটনায় ১৩ নভেম্বর ভিকটিমের মা রুশিয়া খাতুন বাদি হয়ে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী আদালতে চার্জশীট দেয় পুলিশ।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের সরকারী কৌশুলী আবদুল হালিম জানান, বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ফুসলিয়ে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষনের ঘটনায় অভিযোগ গঠন পূর্বক দীর্ঘ স্বাক্ষ্য শুনানী করে আদালত। অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় ধর্ষনের দায়ে রানা হোসেনকে এবং ধর্ষণের সহযোগিতার দায়ে বেলী খাতুনকে যাবজ্জীবন কারাদ-সহ ৫০হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত।