জীবননগর উপজেলার বেশ কিছু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নোট গাইড বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।সরকারি ভাবে নোট গাইড বিক্রি নিষিদ্ধ করা হলেও সরকারি প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকগন সরকারি নির্দেশ অমান্য করেই বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাছে জোরপূর্বক বিক্রি করা হচ্ছে নিন্মমানের নোট গাইড বই ।সরেজমিনে,জীবননগর উপজেলার বাঁকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শামীম আক্তার তাদেরকে স্কয়ারের গাইড বই কিনতে বলেছে ।এবং বই গুলো শিক্ষক শামীম আক্তার নিজেই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কিনে দিয়েছেন বলে কোমলমতি শিশুরা অভিযোগ করেন ।এদিকে অভিভাবকদের দাবি সরকারি ভাবে গাইড বই বিক্রি করা নিষেধ থাকলেও একজন সরকারি স্কুলের শিক্ষক কি ভাবে স্কুলে গাইড বই বিক্রি করছে তা আমাদের জানা নেই এবংস্কুলের শিক্ষার্থীরা শামীম স্যারের দেওয়া বুই লিস্ট অনুযায়ী গাইড বই না কিনলে তাদের মারধর করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন অভিভাবকরা ।এদিকে শিক্ষক শামীম আক্তার বলেন ,আমি স্কুলে কোন গাইড বই বিক্রি করিনি এমন কি গাইড বই সম্পর্কে আমি কিছু বলতে পারবো না এগুলো আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলতে পারে ।কারন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছাড়া এই স্কুলে কোন কিছু করা হয় না ।আর যারা আমার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছে তা সম্পন্ন ভুয়া ও মিথ্যা অভিযোগ করেছে ।২৬ নং বাঁকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সানোয়ার হোসেন বলেন,গাইড বই বিক্রি করা সরকারি ভাবে নিষেধ থাকায় আমি আমার স্কুলের সকল শিক্ষককে গাইড বই বিক্রি করতে নিষেধ করেছি ।এরপরও যদি কোন শিক্ষক গাইড বই বিক্রি করে থাকে তা হলে তার দায়ভার তাদের এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না ।তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে,জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের মেদনিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,হরিহরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু বিদ্যালয়ে প্রকাশ্য কোম্পানীর নিকট থেকে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে নিন্মমানের গাইড বই গুলো শিক্ষার্থীদের নিকট বিক্রি করছে বলে জানা গেছে।জীবননগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,গাইড বই বিক্রি সরকারি ভাবে নিষেধ ।কিন্তু যদি গাইড বই বিক্রি করার বিষয়ে কোন শিক্ষক জড়িত থাকে তা হলে তদন্তপূর্বক ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।