ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ জান্নাতুল ফেরদৌস মহিলা মাদ্রাসার হোস্টেলের সিঁড়ির রুম থেকে সোমবার রাতে ওই মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী, আছমা আক্তার আমেনার (১১) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা সহ ৪ জন সহকারী শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
জানাযায়, নিহত আমেনা পার্শ্ববর্তী বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের কাঞ্চণপুর গ্রামের প্রবাসী মুমিনুল হকের মেয়ে। সে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে মাদ্রাসার হোস্টেলে থাকত। দুপুরের খাবারের পর বিকেল ঘুমানোর কথা ছিল আমেনার, ওই সময় রুমে না থাকায় তার সহপাঠিরা তাকে খুঁজতে সিঁড়ির রুম তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে। পওে পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় রাতেই বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ছাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ দায়ী করে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে মিছিল করেন এবং সুষ্ঠু তদেেন্তর মাধ্যমে দায়ীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের রাতেই মাদ্রাসার হোস্টেল থেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে মাদ্রাসা বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনায় আমেনার মা সেলিনা বেগম বাদী হয়ে মঙ্গলবার ৬ জনকে আসামি করে নবীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মালায় এজাহার ভুক্ত প্রধান আসামি অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম মোসÍফা, আল আমিন, আনোয়ার হোসেন,হাফেজ ইউনুস মিয়া সহ ৪ জন সহকারী শিক্ষককে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
নিহতের মা সেলিনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে আমেনা ফাঁসি দেয়নি, হত্যা করে তাকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নবীনগর থানার ওসি রনোজিত রায় বলেন, সোমবার মাগরিরের পর সংবাদ পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। বাদীর অভিযোগের ভিওিতে তদন্ত চলছে,ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে বলা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।