কোনো সংস্করণেই দুই দল মুখোমুখি হয়নি এখনও। মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের পরের ম্যাচেই হয়ে যাবে জানাশোনার পর্ব। অবশ্য দুই দলের শক্তি-সামর্থ্যরে যা পার্থক্য, তাতে অস্ট্রেলিয়ার দুর্ভাবনা কিছু থাকার কথা নয়। অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা ক্রিকেটের পরাশক্তি, বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট। বাংলাদেশ সেখানে একটি ম্যাচ জিতলেও হবে বড় পাওয়া। তার পরও বাংলাদেশের মুখোমুখি হওয়ার আগে বেশ সতর্ক টুর্নামেন্টের স্বাগতিকরা। এবারের আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনবার অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। একবারও প্রতিপক্ষ হিসেবে পায়নি অস্ট্রেলিয়াকে। দ্বিপক্ষীয় সিরিজেও কখনও দেখা হয়নি। আগামী বৃহস্পতিবার ক্যানবেরার ম্যাচই হতে যাচ্ছে দুই দলের প্রথম সাক্ষাৎ। ম্যাচে পরিষ্কার ফেবারিট অস্ট্রেলিয়া। লড়াইয়ের আগে বাংলাদেশকে তবু সমীহের চোখে দেখছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার র্যাচেল হেইন্স। “চ্যালেঞ্জটি হবে বেশ কৌতূহল জাগানিয়া। গত কয়েক বছরে আমরা ওদের খেলা কিছুটা দেখেছি।” “কিছুটা অচেনা লড়াই বটে, তবে কিছু দিক থেকে একটি পরিস্থিতি পরিষ্কার করে তুলছে। আমরা নিজেদের দিকে মনোযোগ দিতে পারি, কোন ব্যাপারগুলো আমরা ঠিক করতে চাই, কোনগুলো আরও শানিত করতে পারিৃ।” প্রতিপক্ষ অচেনা হলে পরিকল্পনা করা কঠিন অনেক সময়। তবে কিছু ইতিবাচক দিকও যে আছে, সেটিও তুলে ধরলেন হেইন্স। “এটা মনে হয় ভালোই যে ওদের সম্পর্কে আমাদের ধারণা নেই। আমরা ¯্রফে মাঠে নেমে খেলব, বল দেখব আর মারব।” ভারতের বিপক্ষে হোঁচট খেলেও অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ম্যাচে পেয়েছে জয়ের দেখা। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে ৫ উইকেটে। জয়ের ধারা বাংলাদেশের বিপক্ষেও ধরে রাখতে চায় তারা। “সবকিছুর ওপরে আমি মনে করি, এটাকে (জয়ের আত্মবিশ্বাস) ক্যানবেরায় বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে বয়ে নিতে হবে।” অস্ট্রেলিয়া জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামার অপেক্ষায় থাকলেও বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে হেরেছে ভারতের কাছে।