ঈদগাঁওতে প্রতারণার মাধ্যমে এক বাবুর্চি অপর বাবুর্চির সর্বস্ব খুইয়েছে। বিশ্বাসঘাতকতার ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে বাজারের অভিজাত হোটেল পূবাণীতে। এ ঘটনায় ভুক্তভুগি ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দিলেও এখনো কোনো সুরাহা করতে পারেনি। পলাতক প্রতারক বাবুর্চিকে হন্যে হয়ে খুঁজছে ক্ষতিগ্রস্ত বাবুর্চি। প্রাপ্ত তথ্যে প্রকাশ, ঈদগাঁও বাজারের হোটেল পূবাণীতে দীর্ঘদিন ধরে বাবুর্চির কাজ করে আসছে দেলোয়ার হোসেন ও মোঃ কামাল। সেই সূত্রে তারা পরস্পরের সহকর্মী। দেলোয়ার চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের হায়দর পাড়ার মৃত মোজাফ্ফর আহমদের পুত্র। আর কামাল ঈদগাঁও ইউনিয়নের নুরুল আলমের পুত্র। দেলোয়ার হোসেন জোহরের নামাজ পড়তে যাবার সময় তার সহকর্মী কামালের কাছে নিজের দুইটি টাচ মোবাইল সেট ও নগদ ৭৫০ টাকা আমানত রাখে। নামাজ থেকে ফিরে আসার আগেই কামাল মোবাইল ও ঐ টাকা নিয়ে সটকে পড়ে এযাবৎ আর ফিরে আসেনি। সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে তাকে খোঁজাখুঁজি করতে করতে ভুক্তভোগী দেলোয়ার অনেক টাকা খরচ করে ফেলেছে। কামালের পিতা এবং স্ত্রী ও তার দায়িত্ব নিচ্ছে না। অভিযুক্তের পিতা অর্ধেক ক্ষতিপূরণ দেয়ার আগ্রহ জানিয়েছেন।নিরুপায় হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেলোয়ার ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দেন। ইতোমধ্যে এর কয়েক বার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ সূত্র মতে, শুনানিতে অভিযুক্ত কামাল সশরীরে হাজির না হলেও তার পক্ষের লোকজন অংশ নিয়ে থাকেন। কিন্তু পিতা, স্ত্রী ও কামালের দায়-দায়িত্ব নিচ্ছে না। ফলে বিষয়টি এখনো অসুরাহা থেকে গেছে। অভিযোগকারী দেলোয়ার জানায়, খুইয়ে নেয়া মোবাইল দুটির দাম আনুমানিক ২৫ হাজার টাকা। এদিকে একই হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, পালিয়ে যাওয়া বাবুর্চি কামাল এখনো তার কাছ থেকে হাওলাত নেয়া এগারো শত টাকা পরিশোধ করেনি। সহকর্মীর এরূপ আচরনে মর্মাহত হয়েছে দরিদ্র বাবুর্চি দেলোয়ার।