এই প্রথম কাশ্মীরি ও বলসুন্দরী বরইয়ের সফলচাষ করছেন পোরশা উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃতু সয়ফদ্দিন মন্ডলের ছেলে হাফিজুল ইসলাম বেলাল। উপজেলায় প্রথম কাশ্মীরি ও বলসুন্দরী বরইয়ের সফল চাষ হওয়ায় অনেকেই বাগানটি দেখতে যাচ্ছেন। তার লাগানো জমিতে বরই গাছ রয়েছে ৩ হাজার ৫০০টি। সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় বেলালের সাথে তিনি জানান, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সহযোগীতায় উদ্বদ্ধু হয়ে ছাওড় ইউনিয়নের খাতিপুর সোনাডাংগা এলাকায় ৭ একর জমি লিজ নিয়ে কাশ্মীরি ১হাজার ৭৫০টি ও বলসুন্দরী ১হাজার ৭৫০টি বরইগাছ নিয়ে এসে রোপন করেছেন। সব বরই গাছ নাটোর থেকে ক্রয় করেছেন বলে তিনি জানান। রোপনের তিন মাস পরই এগুলোতে ফুল ধরতে শুরু করেছিল বলেও তিনি জানান। তিনি আরও জানান, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী থেকে এপর্যন্ত প্রায় ৫লাখ টাকার বরই বিক্রি করেছেন। তবে লাভজনক হলে এবং কৃষি বিভাগ থেকে সহযোগীতা পেলে তিনি চলতী বছরে আরও ১০ একর জমিতে কাশ্মীরি ও বলসুন্দরী বরইগাছ রোপন করবেন বলে মনোস্ত করেছেন। তবে বরই নতুন চাষ করায় কেমন হবে এই নিয়ে চিন্তিত থাকলেও প্রথম অবস্থায় তিনি ব্যাপক সফল হয়েছেন বলে জানান। এঅবস্থাতেও তিনি নিয়মিত বরই বাগানটি পরিচর্যা করে যাচ্ছেন। তবে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ নিয়মিত পর্যবেক্ষন করছেন বলেও তিনি জানান। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহফুুজ আলম জানান, নাতিশীতোষ্ণ ও উষ্ণমন্ডলীয় জলবায়ু বরই চাষের জন্য উপযোগী ও ফলনের জন্য অনূকুল। এবছর পোরশা উপজেলায় বানিজ্যিক ভাবে ১১৬বিঘা জমিতে বরই চাষ হয়েছে। আগামী বছর ৩০০ থেকে ৪০০বিঘা জমিতে বরই চাষ হবে বলে তিনি জানান। কৃষকগণ বরই চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। আর কাশ্মীরি ও বলসুন্দরী বরই চাষে বেশী ফলন ও দাম ভাল হওয়ায় তারা কৃষকদের ওই বরইগাছ রোপনের পরামর্শ দিচ্ছেন। কৃষকদের এই লাভজনক ফল চাষের প্রতি উদ্বুদ্ধ করনের মাধ্যমে আরও ব্যাপক ভাবে বরইচাষ করার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করা হবে বলেও তিনি জানান।