টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে এসএসসি ও দাখিল ব্যবহারিক পরিক্ষায় পরিক্ষার্থিদের নিকট থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। বুধবার সৈয়দ আবদুল জব্বার সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যবহারিক পক্ষিা দিতে আসা পরিক্ষার্থিরা জানায় প্রতি বিষয়ে বেশি নম্বর দেয়া এবং বিভিন্ন খরচের নামে তাদের নিকট থেকে ১০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। টাকা না দিলে নম্বর কম দেয়া হবে এমন ভয়ও তাদের দেখানো হয়েছে। ব্যবহারিক পরিক্ষায় কাঙ্খিত নম্বর পাইয়ে দেয়ার নামে এবং বিভিন্ন খরচের নামে টাকা আদায়ের বিষয়টি বিভিন্ন মহল জানলেও জানেন না সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিস। ফরম পূরনের সময় পরিক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় ফি আদায় করা হলেও খরচের নামে আবার টাকা আদায় নিয়ম পরিপন্থি। বিষয়টি জেনেও তা করছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর চাপিয়ে দেয়া এ সিদ্ধান্ত ফলাফল আশানুরূপ হবেনা এমন ভয়ে বিনা প্রতিবাদে মেনে নিয়েছেন অভিভাবক শিক্ষার্থিরা।
সরেজমিন আবদুল জব্বার সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে পরিক্ষার্থিদের সঙ্গে কথা হয়। বাথুলী উচ্চবিদ্যালয়ের পরিক্ষার্থিরা জানায় ব্যবহারিক পরিক্ষার নামে তাদের নিকট থেকে মানবিক বিভাগে ২০০ এবং বিজ্ঞান বিভাগে ৫০০ টাকা করে নেয়া হয়েছে। এ টাকা দিতে না চাইলে তাদের নম্বর কম দেয়ার ভয় দেখিয়েছেন প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা বেগম।
পরিক্ষা দিয়ে আসা নলসোধা উচ্চবিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের ৩ শিক্ষর্থি জানায় তাদের নিকট থেকে প্রতি জনে ২৫০ টাকা করে নেয়া হয়েছে। লাউহাটি এম আজহার উচ্চবিদ্যালয়ের পরিক্ষার্থিরা জানায় ব্যবহারিক পরিক্ষার নামে তাদের নিকট থেকে প্রতি বিষয়ে ১০০ টাকা করে আদায় করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
টাকা নেয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাথুলী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা বেগম বলেন ব্যবহারিক পরিক্ষার নামে টাকা আদায়ের অভিযোগ সত্য নয়।
শাফিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দা তাহমিনা বেগমটাকা নেয়ার কথা স¦ীকার করে বলেন পরিক্ষা সংক্রান্ত খরচের জন্য পরিক্ষার্থিদের নিকট থেকে আদায়কৃত টাকা কেন্দ্রিয় সচিবের নিকট জমা দিতে হয়।
এ বক্তব্য প্রসঙ্গে কেন্দ্র সচিব সৈয়দ আবদুল জব্বার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কানিছ ছালমা বলেন মানবিক বিভাগের প্রতি পরিক্ষার্থির জন্য ২০ টাকা এবং বিজ্ঞান বিভাগের পরিক্ষার্থির জন্য ৫০ টাকা করে জমা দিয়েছেন বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখেন প্রায় স্কুলেই ৫০০-৭০০ টাকা করে আদায় করেছে তারা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দেলদুয়ার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুজিবুল আহসান বলেন ব্যবহারিক পরিক্ষার নামে টাকা আদায় হচ্ছে বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি এমনটা কেউ করে থাকেন তা সম্পূর্ন অনিয়ম।