সর্বদলীয় সম্প্রীতি উদ্যোগ দিরাই পিএফজির উদ্যোগে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পলিকেটনিক ইন্সটিটিউট এ বৃহস্পতিবার বিতর্ক প্রতিযোগিতা, উপস্থিত বক্তৃতা শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিরাই পৌরসভার মেয়র মোশারফ মিয়া বলেছেন, দেশে নতুন কারে রাজনীতিবিধ সৃষ্টি হচ্ছেনা। রাজনীতি আজ ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে তার মুল কারণ হচ্ছে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী রাজনীতি বিমূখ হওয়া। আজকে তোমারা বিতর্কের যুক্তিতর্কেল মাধ্যমেও তা প্রমান করলে। আমি আশা করবো তোমরা লেখা-পড়ার পাশাপাশি রাজনীতি চর্যা করবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের রাজনীতিতে আসতে হবে। তিনি ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে সেখানে রাজনীতি করে দেশবাসীকে বুঝিয়ে দেবে দিরাই রাজনীতির ইতিহাস মুছে যায়নি। তিনি বলেন, রাজনীতির পাশাপাশি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে বিজ্ঞান চর্চাও করতে হবে। তোমাদের মাধ্যমেই সোনার বাংলা ডিজিটাল বাংলায় রুপান্তরিত হবে।
ঐতিহ্য হারাচ্ছে বাংলাদেশের ছাত্র রাজীনিতি বিষয়ে বির্কে পক্ষে অংশ নেন বিবিয়ানা মডেল কলেজ এবং বিপক্ষে দিরাই ডিগ্রী কলেজ। মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মিহির রঞ্জন দাস, যুক্তিতর্ক শেষে এ বিষয়ৈ বিজয়ী হয় বিবিয়ানা মডেল কলেজ, শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হন বিবিয়ানা মডেল কলেজের ছাত্রী জারিন তাসনিম। বিশ্ব শান্তিতে জাতিসংঘের ভূমিকা সন্তোষজনক বিষয়ের পক্ষে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পলিকেটনিক ইন্সটিটিউট ও বিপক্ষে স সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মহিলা কলেজ অংশ নেয়। মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পলিকেটনিক ইন্সটিটিউট অধ্যক্ষ শাখাওয়াত হোসেন,, যুক্তিতর্ক শেষ বিজয়ী হয় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মহিলা কলেজ। শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পলিকেটনিক ইন্সটিটিউট এর জয়ন্ত কুমার। উপস্থিত বক্তৃতায় প্রথম স্থান অধিকার করে বিবিয়ানা মডেল কলেজের ছাত্রী নীলা রানী দাস, দ্বিতীয় হয় দিরাই সরকারি কলেজের ছাত্রী সুলতানা আক্তার কলি, তৃতীয় হয় সজিব রায়। পরে অংশ গ্রহণকারীদের হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন অতিথিরা।
বিতর্ক ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা শেষে সর্বদলীয় সম্প্রীতি উদ্যোগ সুনামগঞ্জ জেলা উপদেষ্টা, দিরাই উপজেলা আওয়ামি লীগের সহ-সভাপতি সিরাজ-উ-দৌল্লার সভাপতিত্বে ও দিরাই পিএফজির সমন্বয়কারী, দিরাই প্রেসক্লাবের সভাপতি সামছুল ইসলাম সরদার খেজুরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশের একাউন্টস অফিসার, দিরাই প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক একে কুদরত পাশা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সর্বদলীয় সম্প্রীতি উদ্যোগ সুনামগঞ্জ জেলা সমন্বয়কারী মিসবাহ উদ্দিন, দিরাই পিএফজির পিস এম্বাসেডর, দিরাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ চৌধুরী, দিরাই সরকারী কলেজের প্রবাষক রফিকুল ইসলাম তালুকদার, বিবিয়ানা মডেল কলেজের মুহিবুর রহমান প্রমূখ। বক্তব্য রাখেন, সর্বদলীয় সম্প্রীতি উদ্যোগ সুনামগঞ্জ জেলা সহ-সমন্বয়কারী, দিরাই উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাপ মিয়া, দিরাই বাজার ব্যভসায়ি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ধনির রঞ্জন রায়, সাবেক শিক্ষিকা রাজিয়া বেগম, দিপালী দে, মাওয়া মাহজুজা, দিরাই উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ মিয়া প্রমূখ।
আলোচনা সভা শেষে মোবাইল ফোনের অপব্যবহার রোধে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়ে মানববন্ধন শেসে দিরাই পৌর মেয়ার মোশারফ মিয়া ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করেন। পরে সর্বদলীয় সম্প্রীতি উদ্যোগ সুনামগঞ্জ জেলা সমন্বয়কারী মিসবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে দিরাই পৌর শহরে মজলিশপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ২৬ মুর্তি ভাঙ্গার স্থান পরিদর্শন করা হয় এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিরাজ-উ-দৌল্লা, সামছুল ইসলাম সরদার খেজুর, একে কুদরত পাশা, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি জ্যোতির্ময় চৌধুরী, হরেন্দ্র দাস, স্বরবিন্দু তালুকদার, নিতাই চন্দ্র দাস, রনেন্দ্র কুমার, রথীন্দ্র রায় প্রমূখ। মতবিনিময়ে এ ন্যাক্কার কাজের জন্য নিন্দা প্রকাশ করা হয় এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজার রাখার জন্য সকল ধর্মের লোকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।