কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী থেকে জোরপূর্বক তুলে নেয়া ষোড়শী যুবতী প্রায় তিন মাসেও উদ্ধার হয়নি। এ নিয়ে পরিবার-পরিজনরা রয়েছেন চরম হতাশায়। সংঘটিত ঘটনায় কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ ফৌজদারি দরখাস্ত দাখিল করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যে প্রকাশ, ভারুয়াখালী ইউনিয়নের সাবেক পাড়া ১ নম্বর ওয়ার্ডের
গুলা মিয়ার ষোড়শী যুবতি মোকররমা আক্তারকে
একদল দুষ্কৃতিকারী কিছুদিন আগে জোরপূর্বক থেকে তুলে নিয়ে যায়। সে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। এ ব্যাপারে প্রথমে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ করা হয়। যার নম্বর ৭২৪। পরে এক রাতে দুলাভাইয়ের নাম্বারে ০১৮১৬-২০৪০৬০ মোবাইল নাম্বার থেকে ভিকটিম চিৎকার করে বলে যে, দুলাভাই আমাকে বাঁচাও। মোহাম্মদ সোহেল, আবদুর রহিম ও বান্ধবী বিলকিস আক্তারের সহায়তায় আমাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সিএনজি যোগে জোরপূর্বক অপহরণ করে সোহেলের দুলাভাই খুরুশকুলের নুরুল আলমের বাড়িতে আনা হয়েছে। সোহেল আমাকে ধর্ষণ করেছে। যে কোন বিনিময়ে আমাকে তাদের কবল থেকে উদ্ধার করুন। এক ঘটনার পর অপহৃতাকে উদ্ধার করার জন্য ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের সাথে বারবার যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তারা তাতে কোনরুপ সাড়া দেয়নি। ভিকটিমের পরিবার জানায়, প্রধান অভিযুক্ত সোহেলের বোন বিলকিস আক্তার ভিকটিম মুকাররমার বান্ধবী। সেই ভিকটিমের বাড়িতে গিয়ে জরুরী কাজের কথা বলে সরল বিশ্বাস জন্মিয়ে অপরাপরদের যোগসাজশে অপহরণের ঘটনাটি ঘটায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই জসিম উদ্দিন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-১, কক্সবাজারে একটি ফৌজদারী দরখাস্ত দাখিল করেছেন। সিপি মামলা নং ৭৮/২০। এতে চারজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হচ্ছে ভারুয়াখালী ইউনিয়নের সাবেক পাড়ার মৃত হায়দার আলীর পুত্র মোহাম্মদ সোহেল, তার বোন বিলকিস আক্তার, হেদায়েত আলীর পুত্র আবদুর রহিম এবং সোহেলের দুলাভাই খুরুশকুল ইউনিয়ন মনু পাড়ার আক্তার মিয়ার পুত্র নুরুল আলম। মামলার প্রেক্ষিতে আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ২৭(১)(ক) ধারার বিধান মতে পত্র প্রাপ্তির ৭ কার্যদিবসের মধ্যে অনুসন্ধান পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে কক্সবাজার সদর মডেল থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ নির্দেশ প্রদান করেছেন এবং আগামী ১১/৫/২০ তারিখ শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলা দায়েরের বিষয়টি অবগত রয়েছেন জানিয়ে বলেন, অভিযুক্তদের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিলে ভিকটিমকে উদ্ধার ও অভিযুক্তদের ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে তিনি আন্তরিকভাবে কাজ করবেন।