শ্রীমঙ্গলে সূর্যমুখী চাষ সফল হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সূর্যমুখী গাছে ফুল আসতে শুরু করেছে। আর ৮-১০ দিনের মধ্যে ফুলে ফুলে ভরে উঠবে সূর্যমুখীর প্লটগুলো। এমনটাই জানালেন কৃষি কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, সূর্যমুখী এক ধরনের একবর্ষী ফুলগাছ। এর বীজ তেলের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তেলের উৎস হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সূর্যমুখীর ব্যাপক চাষ হয়। বাংলাদেশেও একটি তেল ফসল হিসেবে সূর্যমুখী চাষ হচ্ছে। সূর্যমুখী তেল অন্যান্য রান্নার তেল হতে খুব ভাল এবং হৃদরোগীদের জন্য বেশ কার্যকর। এতে কোলেস্টেরলের মাত্রা অত্যন্ত কম। এছাড়া এতে ভিটামিন এ, ডি এবং ই রয়েছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি জানান, চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় সরকারিভাবে প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী চাষ করা হচ্ছে। তিনি জানান, উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে ৬০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করা হয়েছে। প্রদর্শনী প্লট স্হাপন করা হয়েছে ৬০ টি। ইউনিয়নগুলো হলো-- মির্জাপুর, সিন্দুরখান, কালাপুর, ভূনবীর, শ্রীমঙ্গল সদর ও আশীদ্রোন।
কৃষি কর্মকর্তা মোনালিসা সুইটি আরো জানান, সূর্যমুখী চাষের জন্য এবার চাষিদের শ্রীমঙ্গল কৃষি অফিসের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে রাজস্ব খাতের অর্থায়নে পাঁচশত টাকা করে প্রশিক্ষণ ভাতাও পেয়েছে চাষিরা। কৃষি অফিস বিনামুল্যে সার ও বীজ সরবরাহ করেছে চাষিদের। এছাড়া প্রদর্শনী প্লটের পরিচর্যা, সেচ, আগাছা ও পোকামাকড় দমন বাবদ ১ হাজার টাকা করে প্রতি চাষীকে দেয়া হয়েছে।
কৃষি কর্মকর্তা আরো জানান, সূর্যমুখী তেল পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ তেল যা রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়। ভোজ্যতেলের মধ্যে সূর্যমুখী অত্যন্ত স্বাস্হ্যকর ও পুষ্টিকর অর্থাৎ পুষ্টিমানে সর্বোত্তম। এক কথায় সূর্যমুখী তেল মানে-গুনে অনন্য। এ তেল হৃদরোগীদের জন্য বিশেষ উপযোগী কারন এতে রক্তে কোলেস্টেরল বাড়ে না।
শ্রীমঙ্গল কৃষি অফিস সুত্র জানায়, মৌলভীবাজার জেলার ৭ উপজেলায় এবার ৪০০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করা হয়েছে। এছাড়াও আমাদের দেশে এখন বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখীর চাষ হচ্ছে।