৮মার্চ সিংড়া প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর সাবেক এমপি মরহুম আশরাফুল ইসলামের ২৯তম মৃত্যু বার্ষিকী। মরহুম আশরাফুল ইসলাম ১৯৬৭-১৯৭২ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর রাজশাহী জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৫৬-১৯৭৫ সাল পর্যন্ত নাটোর মহকুমা আ.লীগের সভাপতি ছিলেন। এর আগে ১৯৫৪ সালে সিংড়া উপজেলার ৩নং ইটালী ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এছাড়াও ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুজিব নগর প্রশাসনে জোনাল কাউন্সিল’র চেয়ারম্যান ছিলেন এবং সিংড়া উপজেলা আ.লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।
মরহুম আশরাফুল ইসলাম ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তৎকালীর প্রাদেশিক পরিষদে এবং ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠন করলে আশরাফুল ইসলাম নাটোর জেলা বাকশালের সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হলে তিনি দীর্ঘ ৩ বছর ৩ মাস বিনা বিচারে কারা ভোগ করেন। এ ছাড়া আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনেও তিনি কারা বরণ করেন। তিনি নাটোর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সিংড়া প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। পরে ১৯৯১ সালের ৮মার্চ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন।
এ বিষয়ে আশরাফ ইসলাম স্মৃতি সংসদের সভাপতি, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সিংড়ার আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠায় চলনবিলের কৃতী সন্তান মরহুম আশরাফুল ইসলাম এমপির অনন্য অবদান রয়েছে। যেটা কখনও ভূলার নয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য সেই পরিবার আজ রাজনৈতিক ভাবে চরম অবহেলিত।