ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সূর্যমুখী ফুলের বাম্পার ফলন ও ন্যায্য মুল্য পাবার আশা করছেন চাষীরা। সূর্যমুখি ফুলের বাগানের সুন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন শতশত প্রকৃতি প্রেমিক ছুটে যাচ্ছে তাদের পরিবার নিয়ে।
জানাযায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পৌরসভার দোলাবাড়ি গ্রামে এই প্রথমবারের মতো কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের রাজস্ব খাতে স্থানীয় ৪০ জন কৃষক তাদের ৪০ একর জমিতে প্যাসিফিক হাইসান -৩৩ জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ শুরু করেছেন। বিজ রোপন করেন গত ১ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে। মার্চের দিকে প্রতিটি গাছে ফুল ফুটার পর বাগানগুলো অপরুপ সুন্দর্য ধারন করায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শতশত প্রকৃতি প্রেমিক প্রতিদিন তাদের পরিবার নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন বাগানের সুন্দর্য উপভোগ করতে। বাগান দেখতে আসা প্রকৃতি প্রেমিকরা বলেন, এই এলাকায় সূর্যমুখী ফুলের চাষের খবরটি ফেইসবুকে দেখেছি। আজ পরিবার নিয়ে দেখতে এসেছি। এখানে এসে খুবই ভালো লাগছে।
সূর্যমুখী ফুলের বাগানের মালিক নাছির উদ্দিন, মোহসিন মিয়া ও বকুল মিয়া জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের অনুপ্রেরনা থেকেই এই অঞ্চলে সূর্যমুখি ফুলের চাষ শুরু করেছি। সরকারীভাবে কৃষকদের মাঝে সূর্যমুখী ফুলের বীজ, সার ও উষধ দেওয়া দিয়েছেন। ফলন ভালো হওয়ার প্রত্যাশা করছি। ফলনের ন্যায্য মুল্য পেলে আমাদের পরিশ্রম স্বার্থক হবেু এবং আমাদের মতো আরো কৃষক সূর্যমুখি চাষে আরো আগ্রহ হবেন।
সূর্য মুখী ফুলের তেল ম্বাস্থ সম্মত ও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোগের ব্যাপক উপকারিতার কথা জানিয়ে নবীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবু তাহের বলেন, নবীনগরে এই প্রথম সূর্যমুখী ফুলের চাষ করার লক্ষে ৪০ জন কৃষকে বিজ, সার ও প্রয়োজনীয় কিটনাশক দেওয়া হয়েছে। ওই কৃষরা ৪০ একর জমিতে বিজ বপন করেছেন। ফলনও ভালো দেখা যাচ্ছে। এই প্রকল্পটি সফল হলে আগামী বছর আরো ব্যাপক আকারে সূর্যমুখী ফুলের চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করা হবে এবং কৃষকরা যেন ন্যায্য মুল্য পায় সে দিকটি নিশ্চিত করা হবে।তিনি আরো বলেন, আমাদের ভুজ্য তেল বেশির ভাগ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, দেশে যদি এই সূর্যমুখী প্রকল্প সফলতা পায় তা হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে আমরা এই তেল বিদেশে রপ্তানি করতে পারবো বলে আশা করছি।