সোনারগাঁয়ে এক দুগ্ধ খামারীকে অপহরন করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। মূমূর্ষ অবস্থায় এলাকাবাসী উদ্ধার করে ওই খামারীকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এঘটনায় আহত দুগ্ধ খামারী কবির হোসেন বাদী হয়ে গতকাল বুধবার বিকেলে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ওই ব্যবসায়ীর দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, সোনারগাঁও পৌর এলাকার ষোলপাড়া গ্রামের মৃত জাফর আলী মেম্বারের ছেলে দুগ্ধ খামারি কবির হোসেনের জমির ওপর দিয়ে হাবিবপুর গ্রামের কামাল হোসেনে ছেলে বিপুল ও মিন্টু জোরপূর্বক ড্রেজারের পাইপ নিয়ে বালুর ব্যবসা করে আসছে। এতে তার ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছিল। তাছাড়াও ওই পথে তাদের চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হয়। এবিষয়টি বিপুলকে একাধিকবার বলার পরও সে ওই জমি থেকে ড্রেজারের পাইপ অপসারণ করেনি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হাবিবপুর গ্রামের কামাল হোসেনে ছেলে বিপুলের নেতৃত্বে মিন্টু, গোচাইট গ্রামের ওমর আলীর ছেলে সাইদ, বালুয়াদিঘির পাড় গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে বদুসহ ৪/৫ জনের একটি দল কবির হোসেনকে সোমবার দুপুরে তার বাড়ি থেকে সোমবার অপহরণ করে সোনারগাঁ পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে বৈদ্যুতিক খুটির সাথে বেঁধে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে কবির হোসেন ডাক চিৎকার শুরু করলে তাকে রেখে হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় ওই খামারিকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় কবির হোসেন গতকাল বুধবার বিকেলে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইদুল ইসলাম ও সোনারগাঁ থানার ওসির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আহত খামারি কবির হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিপুল আমার দুই বিঘা জমির উপর দিয়ে ড্রেজারের পাইপ নেওয়ার কারনে আমি ওই জমিতে কোন ফসল ফলাতে পারছিলাম না। তাছাড়া আমাদের চলাচলের পথে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছিল। এ বিষয়টি আমি তাকে বলার কারনে সে আমাকে মারধর করে। পরবর্তীতে আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে নিয়ে বিদ্যুতের খুটির সাথে বেধে মারধর করে।
অভিযুক্ত বিপুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কবির আমার পাইপের খুটির রশি কেটে দেওয়ার কারনে আমার পাইপ ভেঙ্গে পড়েছে। তাকে ডেকে এনে চড় থাপ্পর দেওয়া হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, দুগ্ধ খামারীকে মারধরের ঘটনায় অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইদুল ইসলাম বলেন, এক খামারিকে তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় অভিযোগটি থানা পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।