টমেটোর তরকারি বা সালাদ খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি পুষ্টিগুণের দিক থেকেও অনন্য এই সবজি। টমেটো থেকে পাওয়া যায় না এমন উপাদানই কম। এতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, কিছু আঁশ এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে। এছাড়াও ক্যালসিয়াম ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি এবং ভিটামিন ই ও কে রয়েছে টমেটোতে।
প্রতি ১ কাপ টমেটো কুচিতে রয়েছে
১৭০.১৪ গ্রাম পানি
১.৫৮ গ্রাম প্রোটিন
২.২ গ্রাম আঁশ
৫.৮ গ্রাম শর্করা
০ গ্রাম কোলেস্টেরল
০.৩২ গ্রাম ক্যালোরি
১৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম
৪২৭ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম
৪৩মিলিগ্রাম ফসফরাস
২৪.৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি
১৪৯৯ (ওট) ভিটামিন- এ
টমেটোর উপকারিতা
টমেটোতে থাকা পটাশিয়াম স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া লাইকোপেন নামক উপাদান কোলেস্টেরল কমায়।
টমেটোতে ক্যারোটিন লাইকোপেন, লুটিন এবং বিটা ক্যারোটিন নামক বেশ কিছু ফাইটো কেমিক্যাল থাকে যা চোখের জন্য খুবই উপকারী।
টমেটোতে থাকা ক্যারোটিনয়েডস চামড়ার জন্য খুবই ভালো। এটি চামড়ায় সরাসরি অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব পড়তে দেয় না।
ক্ষত সারাতে এবং রক্ত জমাট বাধতে সাহায্য করে টমেটো।
মেনোপজের কারণে ঘটতে থাকা পরিবর্তনগুলো যেমন অকারণ উত্তেজনা, অস্থিরতা, উচ্চ রক্তচাপ প্রভৃতি কমাতে সাহায্য করে।
টমেটো ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
শক্ত ও মজবুত হাড় পেতে টমেটোতে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সরাসরি ভূমিকা রাখে।
টমেটোতে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় ঠাণ্ডা, জ্বর, কাশি দূর করতে এর গুরুত্ব অনেক।
লেখক: পুষ্টিবিদ