ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে প্রভাত চন্দ্র (২৮) নামে এক প্রাইভেট হিন্দু শিক্ষক মুসলিম স্কুল ছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেছে। ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এলাকাবাসী, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক মহল বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান মুকুল বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে একাত্ত্বতা ঘোষনা করে বলেন খুব শীঘ্রই দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল করিম ও থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ আমিরুজ্জান বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে এসে উত্তেজিত এলাকাবাসী, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকগণকে আশ্বস্ত করে বলেন এই ধর্ষকের মত জঘন্য অপরাধের সঙ্গে যারাই জড়িত আছে তাদের সবাইকে অতি শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে। তবে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে উপস্থিত উত্তেজিত এলাকাবাসী, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকগণ বলেন ধর্ষক গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।
ধর্ষিতার মা সাজিরন কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমি কিছুই চাই না, চাই শুধু আমার মেয়ের ধর্ষিতার উপযুক্ত বিচার ও ফাঁসি চাই।
এ বিষয়ে হরিপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ আমিরুজ্জান বলেন ভিকটিমের বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার রাতে হরিপুর একটি ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে। ধর্ষকসহ দোষীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে। খুব শীঘ্রই দোষীদের গ্রেফতার করতে আমরা সক্ষম হবো।
স্কুল ছাত্রী (ধর্ষিতা) উপজেলার ধীরগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ের সদ্য শেষ হওয়া এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালে ঐ স্কুল ছাত্রীকে প্রাইভেট শিক্ষক প্রভাত চন্দ্র মোবাইলে ফোনে প্রাইভেট সেন্টারে আসতে বলে। স্কুল ছাত্রী প্রাইভেট সেন্টারে আসলে ধর্ষক প্রভাত চন্দ্র বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি প্রদর্শণ করে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে স্কুল ছাত্রী প্রচুর রক্তপাত ঘটে। এ সময় চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে দুপুর ১টার দিকে এলাকাবাসী স্কুল ছাত্রীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। স্কুল ছাত্রীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। স্কুল ছাত্রী বর্তমানে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।