রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেছেন, মুজিববর্ষের উপহার হিসাবে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্গম গ্রামবাসীর মাঝে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছে। গ্রামীণ জনগণের অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসা সেবা বিতরণে প্রথম স্তর কমিউনিটি ক্লিনিক। তিনি বলেন, গ্রামীণ অবহেলিত জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা শতভাগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দূর্গম পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। যেখান থেকে দূর্গম গ্রামের অবহেলিত জনগোষ্ঠী অতি সহজে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে থাকেন। তিনি বলেন, এই ক্লিনিক পার্বত্যবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার, এই কমিউনিটি ক্লিনিক যাতে সুষ্ঠভাবে পরিচালিত হয় সে লক্ষ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের সকল কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন চেয়ারম্যান।
সোমবার (১৬ মার্চ) সকালে মুজিববর্ষ উপলক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২৮লক্ষ টাকা ব্যয়ে নব নির্মিত রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার দূর্গম হেডম্যান পাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধন শেষে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
নব নির্মিত কমিউনিটি ক্লিনিক প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা, কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাসুদ চৌধুরী, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, রাঙ্গামাটি স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান, কাপ্তাই উপজেলার হেডম্যান থোয়াইঅং চৌধীরী, বারুদগোলা মৌজা প্রধান কালাচান চাকমা, বারুদগোলা বিহারের ভিক্ষু জগৎ মনি চাকমা বক্তব্য রাখেন। এ সময় স্থানীয় হেডম্যান কার্বারী ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও স্থানীয় গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে বন জঙ্গল নিধনসহ বিভিন্ন কারণে মশার উপদ্রব বেশি। তাই কীটনাশকযুক্ত মশারি ব্যাবহার করার বিষয়টি সবার মাথায় রাখতে হবে। তিনি বলেন, লক্ষ্য করলে গ্রামে এখনো দেখা যায় নিজ বাড়ীতে ঝুকি নিয়ে গর্ভবতিদের অদক্ষ দ্রাতি দিয়ে গর্ভপাত করানো হয়। বিষয়টি মা ও শিশুর জন্য খুবই ঝুকি। তাই এসব সনাতন পদ্ধতি বাদ দিয়ে নিরাপদে প্রসব করাতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার গ্রামবাসীদের পরামর্শ দেন চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে বিনামূল্যে প্রায় ৩২ ধরনের ওষুধের পাশাপাশি স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা এবং পুষ্টি সংক্রান্ত পরামর্শ দেয়া হয়। তাই চিকিৎসা গ্রহনের পাশপাশি গ্রামবাসীরা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ গ্রহণ করতে পারবে। তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে পুরো বিশ্ব এখন আতঙ্কে রয়েছে। এই ভাইরাস মোকাবেলায় জনসাধারণকে আত্মবিশ্বাসী ও সচেতন হতে হবে। কারণ এই ভাইরাস মোকাবেলায় প্রয়োজন দৃঢ় আত্মবিশ্বাস। এ প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে নিজেকে ও নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে ভাইরাসটি সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা আবশ্যক। স্বাস্থ্যকর্মীদের এ বিষয়ে এলাকার জনগনদের সম্যক ধারনা প্রদানেরও নির্দেশ দেন চেয়ারম্যান।