জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বকশীগঞ্জে কেক কাটা-দোয়া মাহফিল ও বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পৌর শহরের মালিরচর নয়াপাড়ায় অবস্থিত আজাদ আলোকিত বিশেষ শিক্ষালয়ে ( প্রতিবন্ধী শিক্ষালয়) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর আগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক শাহীনা বেগমের দিক নির্দেশনায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ঝড়ে পড়া বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (প্রতিবন্ধী) শিশুদের জন্য বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছেন বকশীগঞ্জ পৌর শহরের নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ মেডিসিন।
দোয়া মাহফিলের পূর্বে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকসহ উপস্থিত সকলের সাথে কথা বলেন,আজাদ আলোকিত বিশেষ শিক্ষালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ও বকশীগঞ্জ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ্ব শাহীনা বেগম। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি নাম একটি ইতিহাস। মুজিব মানেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর পুরো নাম ছিলো শেখ মুজিবুর রহমান তবে তার ডাক নাম ছিলো খোকা। একদিন সেই খোকাই বিশ্ব কাপিয়ে-ছিলো। হয়েছিলো বিশ্বের নেতাদের নেতা। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব রাষ্ট,পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা। তিনিই আমাদের দিয়ে গেছে একটি স্বাধীন রাষ্ট, একটি সংবিধান। জাতিসংঘের সদস্যপদ দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস বলে শেষ করা যাবেনা। আমাদের মাঝে ২০৭১ সাল ফিরে আসবে কিন্তু ১৯৭১ সাল আর ফিরে আসবে না। ফিরে আসবে না,হাজার বছরের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই আমরা খুব সৌভাগ্যবান যে তাঁর জন্মশত বার্ষিকী দেখে গেলাম। উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।
পরে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দোয়া মাহফিলে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারসহ দেশ ও জাতির কল্যাণেবিশেষ দোয়া করা হয়। দোয়া মাহফিল শেষে এক বিশাল আকৃতির কেক কাটা হয়। কেক কাটা শেষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সিনিয়র সহকারী শিক্ষক শাহীনা বেগম শিখা,জহুরা বেগম,খাদেমুল ইসলাম,সুমন হাসান, ফয়জুর রহমান,ইয়ামিন নাহার,খাদিজা আক্তার,মৃদুল চন্দ্র ঘোষ,আল আমিন,নাজমুল আহাম্মেদ,ফরিদা বেগম, আনোয়ার হোসেন,রুপালী বেগম,হাবিবা জান্নাত,গোলাম রব্বানী,মোছাম্মত লিমা আক্তার,কল্পনা বেগম, মোস্তাকিমা, আহসান হাবিব,আরিফুল ইসলাম,ইমরান হাসান সুমন,সিরাজুল ইসলাম,বাবলা মিয়া,সায়লা জাহান সারজিনা, ফাতেমা ফারজানা,নাজমুন নাহার,রোকসানা পারভীন,শ্যামলী নাসরিন,আরিফ মিয়া, পাপন মিয়া,স্বপন ঘোষ, আনোয়ারা, মিনা পারভীন,নুর ভানু বেগম,সুমাইয়া আক্তার,সিনজু মিয়াসহ প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক-কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন।