খুলনা শহর ও দিঘলিয়া উপজেলার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদীতে নঙ্গর করা জ্বালানী তেলের ট্যাংকার থেকে প্রতিনিয়ত লাখ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রকার জ্বালানী তেল চোরাই পথে পাচার হচ্ছে।
ফলে একদিকে এজেন্ট ডিলার অপর দিকে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকায় ব্যবস্থা আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থা অজ্ঞাত কারণে নিরব।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়,ভৈরব নদীর তীরে মেসার্স পদ্দা, মেসার্স মেঘনা ও মেসার্স যমুনা নামে তিনটি জ্বালানী তেলের ডিপোর অবস্থান ,এসব ডিপোতে বিভিন্ন ধরনের জ্বালানী তেল চট্রগ্রাম থেকে বড় বড় ট্যাংকার (জাহাজ) নিয়ে আসে।খুলনা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ও জ্বালানী সরবারহ করা এসব ট্যাংকারের মাধ্যমে। এসব ডিপোতে জ্বালানী তেল খলাসের অপেক্ষায় ট্যাংকার গুলো ৫/৬ দিন ভৈরব নদীতে নঙ্গর করে অপেক্ষা করতে হয়।
এসময় বার্মাশেল খেয়া ঘাটের নৌকা ও বাড়তি আরও নৌকা যোগে গভীর রাতে কাশিপুর ও ফরমাইশখানার একটা সংঘবদ্ধ চক্র প্রতি রাতে তেল পাচার করছে। এ সময় এসব জাহাজের কর্মকর্তা কর্মচারীর ও সমপৃক্ততা আছে বলে এলাকাবাসী জানায়। এদিকে এসব ডিপো থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এসব জ্বালানী তেল সরবারহ করার জন্য ট্যাংকলরী ব্যবহার করা হয়।
এসব ট্যাংলরী থেকে ও কৌশলে তেল পাচারের জন্য রাস্তার পাশে সাটার লাগানো ঘর রয়েছে শতাধিক। এসব দোকান মালিকরা প্রতিনিয়ত এসব ট্যাংকলরী থেকে নানা ধরনের জ্বালানী তেল চোরাই পথে পাচার করে বলে জানা গেছে।এ দিকে রেলপথে উত্তর বঙ্গে তেল সরবারহ করার সময় একটা সংঙ্গবদ্ধ চক্র রেল লাইন এর পাশে গড়ে তুলছে তেল আখড়া।
এসব মিলে প্রতিনিয়ত লাখ লাখ টাকার বিভিন্ন জ্বালানী তেল পাচার হয়ে যাচ্ছে। পাচার হওয়া তেলের মধ্যে রয়েছে ফার্নেস ওয়েল, পেট্রোল, ডিজেল, অকটেন, ইত্যাদি। আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার সামনে এসব চোরা কারবারীরা তৎপর থাকলেও তারা অজ্ঞাত কারণে নিরব বলে এলাকাবাসীর জানা যায়।