সারা দেশের মানুষ যখন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে আতংকের ভেতর আছে। তখন পুঠিয়ায় শুধুমাত্র মার্চ মাসে বিভিন্ন দেশ থেকে ফেরত এসেছেন ১৪৫ জন ব্যক্তি। এখন পর্যন্ত কোনো বিদেশ ফেরত ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টিন রাখা হয়নি। এই নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের ভেতর আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উপজেলা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা রয়েছে। সারা দেশের মানুষ যখন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে আতংকের ভেতর আছে। তখন পুঠিয়ায় চলতি মার্চ মাসে পৌরসভায় ৩৯ জন, পুঠিয়া সদর ইউপি ৭ জন, বেলপুকুর ইউপি ৫ জন, বানেশ্বর ইউপি ২২ জন, ভালুকগাছি ইউপি ১৭ জন, জিউপাড়া ইউপি ১৯ জন, শিলমাড়িয়া ইউপি ৩৬ জন ব্যক্তি বিভিন্ন দেশ থেকে ফেরত এসেছেন। এখনো পর্যন্ত কোনো বিদেশ ফেরত ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টিন রাখা হয়নি। গত বুধবার হতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.ওলিউজ্জামানের নেতৃত্বে একটি হোম কোয়ারেন্টিন কল সেন্টার গঠন করা হয়েছে। তিনি যুগান্তরকে জানায়, ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের বিষয়ে সচেতনতা জন্য উপজেলা জুড়ে পরিস্কার রাখা এবং লিফলেট বিতারনের প্রস্তুতির কাজ চলছে। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টিন রাখার জন্য বলা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতায় একটি হোম কোয়ারেন্টিন ব্যাপারে কল সেন্টার গঠন করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা প্রশাসনের এক কর্মচারী বলেন,করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের বিষয়ের উপজেলা জুড়ে স্বাস্থ্য মাঠকর্মীদের দ্বারায় উপজেলা প্রশাসন কিছু সংবাদ পাওয়ার কথা। কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পক্ষ থেকে কোনো করোনাভাইরাস সংক্রমণ বিষয়ে তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হোম কোয়ারেন্টিন কল সেন্টার থেকে তার নাম বাদ দেয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু পুঠিয়ার পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলি করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে এবং চিকিৎসা করার জন্য হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলি প্রস্তুতি করে রেখেছেন। পাশাপাশি তারা উপজেলা জুড়ে মাইকিংকে প্রচারোনা করার খবর শুনা যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.ওলিউজ্জামান যুগান্তরকে জানায়, এখনো পর্যন্ত উপজেলায় কোথাও, কোনো স্থানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোগী শনাক্ত করার খবর পাওয়া যায়নি। বিদেশ ফেরত ১৪৫ জন ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টিন থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের কঠোরভাবে বলে দেয়া হয়েছে।