প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিএনপি’র দখলে থাকা তানোর পৌর সভা আ.লীগের দখলে আনতে এবার সুজনকে আগাম প্রার্থী ঘোষনা দিয়ে মাঠে নামানো হয়েছে। পৌর সভা নির্বাচনের এখনো প্রায় দেড় বছর বাকি। আ.লীগের পক্ষে আনতে এরইমধ্যে সকল নেতা-কর্মিদেরকে সুজনের পক্ষে থাকার নির্দেশ দিয়ে তাকে নির্বাচনী মাঠে নামানো হয়েছে। আ.লীগ দলীয় নেতা-কর্মিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত প্রায় ৩মাস আগে থেকেই তানোর পৌর এলাকাসহ তানোর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সভা সেমিনার ও বিভিন্ন সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের সবগুলোতেই সুজনকে পরিচিত করে দিচ্ছেন সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ আ.লীগের নেতা-কর্মিরা। ফলে সুজন গত ৩ মাস থেকে তানোর পৌর এলাকার বিভিন্ন সভা সেমিনারে অংশ নেয়াসহ প্রায় প্রতিটি পাড়া মহল্লা এমনকি বাড়ি বাড়ি গনযোগ করছেন পুরোদমে। মিষ্টভাষী বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী তরুন সমাজ সেবক আ.লীগ নেতা আবুর বাশার সুজন প্রায় প্রতিদিনই তানোর পৌর এলাকায় ঘুরছেন। ফলে অল্প দিনেই সুজন তানোর পৌর বাসীর মাঝে যেমন পরিচিতি লাভ করেছে তেমনি ভাবে তার আচার আচরনে তাকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। অপর দিকে তানোর পৌরবাসী বলছেন সুজন যে ভাবে আর যে মিশন নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই পাড়া মহল্লায় গনসংযোগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন তাতে মনে হচ্ছে এবার তানোর পৌর সভা আ.লীগের দখলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সচেতন মহলের অভিমত, শুরু থেকেই আ.লীগ সঠিক সময়ে সঠিক প্রার্থী দিতে না পারায় বার বারই বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। তারা আরো বলছেন যে ভাবে সুজন মাঠে ঘাটে ছুটে বেড়াচ্ছেন তাতে মনে হচ্ছে প্রার্থী দেয়ার ক্ষেত্রে এবার আ.লীগ সঠিক সিদ্ধন্তই নিয়েছে। তানোর পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জনসাধারনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ৩ মাস থেকেই সুজন তানোর পৌর এলাকার মসজিদ গুলোতে প্রায় প্রতিটি শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়ছেন এবং দান অুনদান দিচ্ছেন, সেই সাথে এলাকার যুবকদের বিভিন্ন খেলা-ধুলার সামগ্রী দেয়ার পাশাপাশি যুবকদের ঐক্যবদ্ধ করতে তাদের আবদার হাসি মুখে মিটিয়ে দিচ্ছেন। বিভিন্ন মন্দিরে দান অনুদান মাদ্রাসায় অনুদান ও ইয়াতিম খানার ইয়াতিমদের বিভিন্ন সহায়তা দিচ্ছেন। হতদরিদ্রদের মাঝে বিভিন্ন দান অনুদান ও চিকিৎসার খবর ও ভিক্ষুকদের চাউল কিনেও দিচ্ছেন তিনি। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হরে তানোর আবুল বাশার সুজন বলেন, ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখতাম জনগনের সেবা করাব। আল্লাহ যদি সেই সুযোগ দেন আর জনগন যদি আমাকে ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করেন তাহলে জনগনের সেবার কোন কমতি থাকবেনা এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য’র সকল প্রকার সহযোগীতায় তানোর পৌরসভাকে ১বছরের মধ্যে ১ম শ্রেনীর পৌরসভায় রুপান্তরিত করে একটি আদর্শ ও মডেল পৌরসভায় হিসেবে গড়ে তুলবো ইনশাল্লাহ। তিনি বলেন, দীর্ঘদিনেও তানোর পৌরসভাটি অবহেলায় পড়ে আছে, এই পৌর এলাকার উন্নয়নের জন্যই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।