করোনা ভাইরাস সতকর্ততায় মেহেরপুরে বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের খোঁজে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। সকাল থেকে মধ্য রাত পর্ষন্ত হোম কোয়ারেন্টিানে থাকা প্রবাসীদের খোঁজ খবর নিতে দেখা গেছে তাদের। মেহেরপুরের তিন উপজেলায় গত এক সপ্তাহে ১২শ জন প্রবাসী বিভিন্ন দেশ থেকে বাড়ি ফিরেছেন বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এদিকে কয়েকটি বিয়ে ও সুন্নতে খাৎনা অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেব মতে শুক্রবার সকাল দশটা পর্ষন্ত ৮৬ জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টিানে রাখা হয়েছে। প্রতি দিনই বাড়ছে এই সংখ্যা। এদিকে করোনা ভাইরাস সতকর্ততায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বাহীনি মাঠে কাজ করছে। স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনায় বিদেশ ফেরত এসব মানুষ নিজ নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন করছেন। তবে এদের মধ্যে কারো শরীরে আজকে পর্যন্ত করোনা উপসর্গ নেই। মেহেরপুর জেলা স্বাস্থ বিভাগের হিসেব অনুযায়ী জেলায় মোট ৮৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টিানে রাখা হয়েছে। তারা সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন দেশ থেকে ফিরেছেন। মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডাঃ নাসির উদ্দীন বলেন, বিদেশ থেকে আগতদেরকে ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টিানে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ভাইরাস আছে কি না তা আমরা জানি না। যদি কোন জীবানু থেকে থাকে তাহলে ১৪ দিনের মধ্যে লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এজন্য স্বাস্থ বিভাগের কর্মীরা প্রশাসনের সহায়তায় কোয়ারেন্টাইনে রাখতে সক্ষম হয়েছেন।
এদিকে মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগর সৃতি কমপ্লেক্স লকডাউন করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দর্শনাথীদের করোনা ভাইরাস সতকর্ততায় ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া জেলার পর্ষটন স্পট গুলোতে দর্শনাথীদের নিরসাহিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ওসমান গনী।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মো: আতাউল গনী বলেন,করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসন কাজ করছে। সকলকে সতর্ক ও নিরাপদে থাকার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন,জেলা প্রশাসকের সকল সভা সমাবেশ বাতিল করা হয়েছে।