করোনাভাইরাস আতঙ্কে কুষ্টিয়ায় হঠাৎ করেই সব ধরণের চালের দাম কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টা বেড়ে গেছে। খুচরা বাজারে যেখানে মিনিকেট চাল (চিকন চাল) কেজি প্রতি ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছিল। এখন সেখানে ৫২ থেকে ৫৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একই সাথে স্বর্ণা, কাজললতা ও আঠাশ চালও মিনিকেট চালের সাথে পাল্লা দিয়ে কেজি প্রতি ২ টাকা করে বেড়ে গেছে। করোনাভাইরাসের কারণে দেশে যে কোন সময় অচলাবস্থা সৃষ্টি হতে পারে এমন গুজবে গত দুদিন ধরে কুষ্টিয়ার পৌর বাজার, বড় বাজারসহ স্থানীয় বাজারে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
তবে দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন হঠাৎ করেই মিল গেট থেকে চালের আমদানি কমে যাওয়ায় চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে হঠাৎ করেই কুষ্টিয়ায় সব ধরণের চালের দাম কেজি প্রতি ২-৩ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসন চালকল মালিকদের সাথে জরুরি বৈঠক করেছেন।
বৈঠক থেকে চালের দাম বাড়ালে জেল- জরিমানাসহ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারি দেওয়া হয়। শনিবার সকালে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলার চাল কল মালিকদের নিয়ে এ জরুরি বৈঠক করেন।
বৈঠকে এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলা এ বৈঠকে বাংলাদেশ অটো রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাজী আবদুর রশিদ, জেলা চালকল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হাজী ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দিন, জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি হাজী আবদুস সামাদ, সাধারণ সম্পাদক হাজী জয়নাল আবেদীন, কুষ্টিয়া চেম্বারের সহ-সভাপতি এস এম কাদেরী শাকিল, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনোয়ার হোসেন, বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা রবিউল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, আমরা করোনাভাইরাসের মত ঘাতক মহামারীকে মোকাবেলা করছি। এমন দুযোর্গ মুহূর্তে কেউ যদি অধিক মুনাফা লাভের আশায় চালের দাম বৃদ্ধি করে সেই অসাধু মিল মালিক ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানাসহ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারি প্রদান করেন তিনি।