নড়াইলের কালিয়ায় এক যুবককে অপহরণ করে মাইক্রোবাসযোগে নিয়ে যাওয়ার সময় নগদ টাকাসহ অপহৃত যুবককে উদ্ধার করেছে নড়াগাতি থানা পুলিশ। এ সময় পুলিশ ওই মাইক্রোবাসসহ চার অপহরণকারীকে আটক করেছে। ওই ঘটনায় কালিয়া থানায় একটি অপহরণ মামলা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নড়াইলের কালিয়া পৌরশহরের ছোটকালিয়া গ্রামের সিয়াকুল ইসলাম মোল্যার ছেলে ‘এজে এগ্রোফার্ম এ- হ্যাচারি লিমিটেডের’ প্রোপ্রাইটর মোঃ আশিকুকুজ্জামান ও আটককৃত অপহরণকারীদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ চলছিল। শনিবার সকাল অনুমান ১০টার দিকে মোঃ আশিকুকুজ্জামান (৩২) ব্যবসার কাজে উপজেলার সালামাবাদ ইউপির ভাউড়িরচর থেকে মোটর সাইকেলযোগে কালিয়া যাচ্ছিলেন। তিনি কালিয়া পৌরসভার কার্তিকপুর বটতলার পূর্বপাশে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা ৪/৫ জন অপহরণকারী তার মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে। এ সময় অপহরণকারীরা তার কাছে থাকা ৩৪ হাজার ৭২০ টাকাসহ তাকে জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে (ঢাকা মেট্রো-গ ১২-৯৮৪৮) তুলে অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছিল। ওই মাইক্রোবাসটি উপজেলার যোগানিয়া সড়কের নলামারা মোড় নামক স্থানে পোঁছালে নড়াগাতি থানা পুলিশের একটি দল মাইক্রোবাসটি আটক করে অপহৃত যুবককে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ চার অপহরণকারীসহ মাইক্রোবাসটি আটক করতে সক্ষম হলেও অজ্ঞাতনামা অপহরণকারীরা ওই টাকা নিয়ে মোটর সাইকেলযোগে পালিয়ে যায়। আটককৃতরা হলো গোপালগঞ্জ জেলার মোকছেদপুর উপজেলার কাউনিয়া গ্রামের আশরাফ আলী মিয়ার ছেলে লিফটন মিয়া (৩৪), একই গ্রামের সিরাজুল মিয়ার ছেলে শামীম মিয়া (২৭), লঙ্কারচর গ্রামের সাহেব আলী মোল্যার ছেলে জসিম মোল্য (২৬) ও নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বনগ্রামের আনিচুর রহমান ভূইয়ার ছেলে রেজা ভূইয়া (২২)। ওই ঘটনায় মোঃ আশিকুকুজ্জামান বাদী হয়ে আটকৃত অপহরণকারীদের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
উপজেলার নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রোকসানা খাতুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আটককৃতদের নড়াগাতী থানা থেকে কালিয়া থানায় হস্তান্তর করা হবে।’ কালিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ ইকরাম হোসেন বলেন, ‘ওই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। উদ্ধারকৃত অপহৃতকে কালিয়া থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। আটকৃত চার অপহরণকারী ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামী।