কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের আশারকোটা গ্রামে রোববার সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একই গ্রামের আবদুল মান্নানের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম তার ছেলে-মেয়েসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫জন লোক ধারালো অস্র দিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আশারকোটা গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে সিএনজি অটোরিক্সা চালক মহিন উদ্দিন (৩৫) ও এসলাম মিয়ার ছেলে মো: হাছানকে (৩৩) আহত করে। আহতদের নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে আশংকাজনক অবস্থায় মহিনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় ও আহতরা জানান, উপজেলার আশারকোটা দক্ষিণ পাড়ার মৃত মন্নানের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম তার বাড়ীর উপর দিয়ে বিদ্যুতিক তার যেতে না দেয়ায় কয়েকটি পরিবার বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বঞ্চিত। এবং সরকারী রাস্তার কালভার্ট বন্ধ করে দেয়ায় শতাধিক পরিবার বর্ষা মৌসুমে পানি বন্ধি থাকে। মনোয়ারা এলাকার লোকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নানাহ রকম অসামাজিক কাজের অভিযোগ রয়েছে। এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করায় তার আপন দুই ভাই ও মামাত ভাইসহ এলাকার অসংখ্য লোকের বিরুদ্ধে সে আদালতে এ যাবৎ ১১টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। রোববার তার এক মামলার তদন্তে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ বাড়ীতে গেলে স্থানীয় শতাধিক গ্রামবাসী তার অপকর্মের বিষয়ে পুলিশকে অবহিত করে। পুলিশ চলে যাওয়ার পর মনোয়ারা তার ছেলে সাদনান সাকিব, মেয়ে সাবিহা জান্নাত মৌসুমি ও অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন সন্ত্রাসী ক্ষিপ্ত হয়ে মহিনের উপর হামলা করে। মহিনের আত্ম চিৎকারে হাসান এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকেও আহত করে। পরে আহতদের নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট থানার উপপরিদর্শক আখতার হোসেন বলেন, আমরা মনোয়ারার একটি মামলার তদন্তে যাই। আমরা চলে আসার পর দু’পক্ষের মারামারিতে কয়েকজন আহত হয়। খবর পেয়ে পুনরায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি।