রাঙ্গামাটিতে নতুন করে প্রবাসী ও বিদেশ ফেরত আরও ৩৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রেখেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এ পর্যন্ত জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার সংখ্যা বেড়ে ১১৫ জন-এ দাঁড়ালো। রাঙ্গামাটি জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মোঃ মোস্তফা কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে রাঙ্গামাটির সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ,কে,এম মামুনুর রশিদ।
জেলা প্রশাসক বলেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কয়েকটি উপজেলার সাথে ভারত ও মিয়ানমারের বর্ডার রয়েছে। এর মধ্যে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি এ তিনটি উপজেলা ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা রয়েছে এবং বিলাইছড়ি উপজেলা দিয়ে মিয়ানামারের কিছু অংশ রয়েছে।
তাই সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো দিয়ে যাতে কেউ অবাধে যাতায়াত করতে না পারে সেজন্য বিজিবিকে কাজে লাগানো হচ্ছে এবং বিশেষ নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। এই এলাকাগুলো দিয়ে যাতে কোন মানুষ ঢুকতে না পারে তার জন্য বিজিবি সেক্টর কমান্ডারকে এই বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
অন্যদিকে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাঙ্গামাটির শহরের বিভিন্ন বাজারগুলোতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর কৃত্রিম সংকট ও কোন প্রবাসী কোয়ারেন্টাইনে না গিয়ে পরিচয় গোপন রেখে প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আর বাজারগুলোতে যাতে টিম কৃত্রিম সংকট মোকাবিলায় রাঙ্গামাটিতে বিভিন্œ বাজারে অভিযান ও প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।