নভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার বন্ধ হলেও এখনো আসছে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক। কিন্তু বাংলাদেশী কোন পণ্যবাহী ট্রাক ভারতের ফুলবাড়ি স্থলবন্দর ইয়ার্ডে ঢুকতে দিচ্ছে না।
জানা যায় অতিসম্প্রতি ভারতে জনতা কারভিউ জারি করায় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে গত রোববার বিকাল থেকে বাংলাদেশের সংগে যাবতীয় কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। কিন্তু সোমবার থেকে পুনরায় ভারত, নেপাল ও ভুটানের পণ্যবাহী পাথর বোঝাই সহ অন্যান্য মালামালবাহী ট্রাক বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে প্রবেশ করেছে। অপরদিকে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানীকৃত পণ্যবাহী ট্রাক ভারতের ফুলবাড়ি স্থলবন্দর ইয়ার্ডে যাবার কারপাস পাওয়ায় ঢুকতে পারছে না।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা নভেল করোনা ভাইরাসকে বিশ্বে মহামারী সংকট হিসেবে ঘোষণা করার পর ভাইরাস আতঙ্কে ভারতীয় সব ধরণের ভিসা বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে ভারতে ৮০টির বেশি জেলা নভেল করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকার জনতা কারফিউ জারি করেছে। যে কারণে ভারতের ফুলবাড়ি ইমিগ্রেশন অফিস সব ধরণের মালবাহি কারপাস বা যাত্রী পারাপার বন্ধ করেছে।
বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায় তেঁতুলিয়া উপজেলায় প্রতিবেশী দেশ ভারত সহ অন্যান্য দেশ থেকে বিদেশ ফেরত ১শত ২৪ জন যাত্রী প্রবেশ করেছে। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কমপক্ষে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে নভেল করোনা ভাইসরাস যেনো কমিউনিটি পর্যায়ে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য উপজেলা স্বাস্থ্য পঃ পঃ কর্মকর্তার অফিস থেকে স্বাস্থ্য অফিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী জ্বর, সর্দি, কাশি আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য না এসে হটলাইন মুঠোফোন নম্বর ০১৭৩০-৩২৪৬৯৯ তে ফোন করে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করে বাড়িতে বিশ্রামে থাকার কথা বলা হয়েছে।
তেঁতুলিয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মোঃ রোকনুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে প্রতিনিয়ত সামান্য জ্বর, সর্দি, কাঁশি আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসার জন্য বহিঃর্বিভাগে আসছে। কিন্তু ডাক্তারদের ভাইরাস থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা পোশাক (পিপি) সহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি না থাকায় অনেকটা স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে আক্রান্ত রোগীদের যথাসাধ্য সেবা দেয়া হচ্ছে।
এব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান (ডাবলু) সোমবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিদর্শনে গিয়ে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা সহ অন্যান্য মেডিকেল অফিসাদের উপজেলা পরিষদ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পিপি পোশাক সহ অন্যান্য সামগ্রী খুব তাড়াতাড়ি সরবরাহ করার কথা জানান। একই সংগে নভেল করোনা ভাইরাস সন্দেহে কোন রোগীর হাসপাতালে জায়গা না হলে তাঁর মালিকানাধীন কাজী ব্রাদার্স আবাসিক হোটেল করোনা ওয়ার্ড খোলার অনুমতি দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারঃ) মোঃ মাসুদুল হক বলেন, নভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলার জনবহুল এলাকায় জনসমাবেশ, জনসমাগম নিষেধ করার পাশাপাশি পণ্যসামগ্রীর দাম বেশি নেওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।