সারা বিশ্ব যেখানে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা চলছে। সেখানে সোনারগাঁ উপজেলায় বয়স্ক ভাতা উঠাতে এসে বৃদ্ধরা স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পরতে পারেন বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছে। সোনারগাঁয়ে এ নিয়ে নেই কোন উদ্যোগ বা কোন প্রতিরোধ। বিশেষজ্ঞদের অভিমত বয়স্ক লোকেরাই করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি বেশী। তারা আক্রান্ত হলে আক্রান্ত হবে পরিবার, সমাজ ও জাতি। সোনারগাঁয়ে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নিয়েই বয়স্ক ভাতার টাকা তুলতে ভিড় করছেন ব্যাংকে। উপজেলার বিভিন্ন সরকারি ব্যাংক গুলোতে দুই থেকে তিন’শ মানুষ এক সাথে ভিড় করে এ টাকা উত্তোলন করছেন। পাশাপাশি টাকা তুলতে এসে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এসব বয়স্ক ব্যক্তিরা।
সোমবার দুপুরে কৃষি ব্যাংকের উপজেলার মহজমপুর শাখায় দু’শতাধিক বয়স্ক মানুষকে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা উত্তোলন করতে দেখা গেছে। সূত্রজানায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের কৃষি ব্যাংক শাখায় বয়স্ক ভাতার টাকার জন্য প্রায় দু’শতাধিক দরিদ্র মানুষ সকাল ৯টা থেকে ব্যাংকের নিচে এসে ভিড় করেন। এ সময় অল্প জায়গায় গাদাগাদি করে তারা বসে থাকলেও তাদের কারো মুখেই মাস্ক ছিল না। ব্যাংকের পক্ষ থেকে হাত ধোঁয়ার কোন ব্যবস্থাও রাখা হয়নি। পরে দুপুর ১২টার দিকে ব্যাংক কর্মকর্তারা ভাতা দেয়ার কার্যক্রম শুরু করেন।
বয়ষ্ক ভাতা নিতে আসা নুরজাহান বেগম (৭০) বলেন, সকাল ৯টা থেকে বসে আছি কখন টাকা পাবো জানি না। প্রতিবার টাকা নিতে সকালে আসলে বিকালে যেতে হয়। দুপুরে না খেয়ে বসে থাকতে হয়। করোনার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন এসব কিছুই জানি না।
বুরুমদী গ্রামের রাবেয়া আক্তার (৭৫) জানান, টাকা তুলতে এসে সবসময় ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আমাদের ভাতার টাকা যদি মোবাইলের মাধ্যমে পেতাম তাহলে আমরা ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেতাম।
এব্যাপারে কৃষি ব্যাংক মহজপুর শাখার ম্যানেজার মোঃ হায়দার আলী জানান, এখানে ভাতা নিতে আসা সকলের বই জমা নেয়া হয়েছে শীট তৈরি করে টাকা দেয়া শুরু করবো। আশা করি দুইটার মধ্যে তাদের কার্যক্রম শেষ করতে পারবো। করোনা সংক্রমন রোধে ব্যাংকের এ শাখায় কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা তা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের এখানে এ ধরনের কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইদুল ইসলাম জানান, আমরা সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বিষয়টির যেনো পূনরাবৃত্তি না ঘটে সে ব্যাপারে সতর্ক করা হবে।