২০১৯-২০ অর্থ বছরে ফরিদপুরে ৩৮ হাজার ৪৬৩ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা ও হালি পেয়াজের চাষ করা হয়েছে। এ থেকে পেয়াজ উৎপাদন হবে ৫ লাখ ১৯ মেট্রিক টন। ফরিদপুরের মোট জনসংখ্যা ২২ লাখ ৩০ হাজার। এ জেলায় পেয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২৪ হাজার ৪১৮ মেট্্েরক টন। জেলার বার্ষিক চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত পেয়াজের মধ্যে থেকে ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬০১ মে.টন পেয়াজ দেশের অন্যান্য জেলায় পাঠানো সম্ভব হবে।
ফরিদপুরে এক প্রেস ব্রিফিং-এ এ তথ্য জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী। মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুরে পেয়াজের ফলন নিয়ে এ প্রেসব্রিফিং এর আয়োজন করা হয় উপপরিচালকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে।
প্রেসব্রিফিং এ আরও জানানো হয়, পেয়াজ উৎপাদনে ফরিদপুর দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তবে পেয়াজের দানা উৎপাদনের দিক থেকে এ জেলার অবস্থান শীর্ষে। চলতি অর্থ বছর জেলায় বিভিন্ন উপজেলায় এক হাজার ৪১৫ হেক্টর জমিতে পেয়াজের দানা আবাদ করা হয়েছে। এ থেকে ৮২০ মেট্রিক টন পেয়াজের দানা উৎপন্ন করা সম্ভব হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, এ বছর পেয়াজ উৎপাদনের জন্য ফরিদপুরে অনুকূল আবহাওয়া ছিল। পেয়াজ তোলা শুরু করার কয়েকদিন আগে বৃষ্টি হলেও পরবর্তিতে রৌদ্র ঝলমল আবহাওয়ার কারণে পেয়াজের ক্ষতি হয়নি।
তিনি বলেন, ফরিদপুরে পেয়াজের গড় ফলন দিনে দিনে বাড়ছে। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে এ জেলায় পেয়াজের গড় ফলন ছিল ১০.২৩ মে.টন, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বেড়ে ১১.৮১, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ১২ মে.টন. ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ১২.৬৩ এবং চলতি ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ১৩ মে.টন হয়েছে।
তিনি বলেছেন, এটি সম্ভব হয়েছে কৃষকদের মাঝে উন্নতমানের বীজ সরবরাহ এবং কৃষি বিভাগের উদ্যোগে সঠিক সময়ে সঠিক প্রনোদনা দেওয়ায়।
এ প্রেসব্রিফিং চলাকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারি উপ-পরিচালক অশুতোষ কুমার বিশ্বাস।