ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ বাড়ির অদূরে একটি গাছে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে মঙ্গলবার গফরগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন ও আহসান হাবিব ঘটনাস্থলে থেকে নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করার পর ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় গফরগাঁও থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনাটি সোমবার গভীর রাতে উপজেলার যশরা ইউনিয়নের পাড়া ভরট গ্রামে ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার যশরা ইউনিয়নের পাড়া ভরট গ্রামের এক দরিদ্র বাবার এক ছেলে-তিন মেয়ে। তাদের মধ্যে ছেলে গত দুই মাস পূর্বে জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিন মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে তাকমিনা (১৯) স্থানীয় আঠারোদানা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেও সে আর কোন কলেজে ভর্তি হয়নি। সোমবার রাত ৯টার দিকে সে ও তার ছোট বোন সুমাইয়া রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে আলাদা ঘরে ঘুমাতে যায়। মঙ্গলবার ভোরে বাড়ি থেকে ৩০০ মিটার দূরে পাড়া ভরট জামে মসজিদের পাশে চান্দে মড়লের ভিটায় একটি নিচু গাছে বড় মেয়ের তাকমিনের লাশ ঝুলতে দেখে স্থানীয় লোকজন বাড়িতে খবর দেন। এ সময় ধর্ষিতার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পাশেই পড়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা মেয়েটিকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে।
নিহতের বাবা আবদুল মতিন অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। মানুষের নজর অন্যদিকে নিতে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখার নাটক সাজিয়েছে নরপশুরা।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম রিয়েল মেয়েটিকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করে বলেন, দরিদ্র পরিবারের মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করেন তিনি।
গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অনুকূল সরকার বলেন, খবর পেয়ে দুজন অফিসারকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গফরগাঁও সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী জানান, হত্যার সকল আলামত জব্দ করা হয়েছে। আলামত গুলো পরীক্ষা নিরিক্ষার পর জানা যাবে প্রকৃত ঘটনা।