নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক যুবকের মাঝে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের লক্ষণ পরিলক্ষিত হওয়ায় তার অবস্থানের আশেপাশের ৭ মুদি দোকান, ১ হোটেলসহ ১০ বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে। ২৪ মার্চ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। শহরের বাঁশবাড়ি মসজিদ বায়তুস সালাম (টালি মসজিদ) সংলগ্ন উর্দুভাষী ক্যাম্পবাসীদের সংগঠন এসপিজিআরসির এর অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জানা যায়, ওই এলাকার সাবেক ওয়ার্ড মেম্বার মৃত সামসুল হক ও উর্দূভাষীদের নেতা আশরাফুল হক বাবুর ভাগিনা ইমরান হোসেন (৩৫) ঢাকায় চাকুরী করতো। গত কয়েকদিন আগে সে সৈয়দপুরে আসে। আসার পর থেকেই সে স্বর্দি-কাশি ও জ¦রে ভুগছিল। বিশেষ করে তার শ্বাসকষ্ট খুবই বেশি ছিল। কিন্তু তার অসুস্থতার বিষয়টি গোপন রেখে সে বাসায় অবস্থান করছিল। গতকাল তার অবস্থার অবনতি হলে বিকাল ৪ টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় তার পরিবারের লোকজন। এতে খবরটি এলাকাবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সৈয়দপুর প্রশাসনকে অবহিত করা হলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং ঘটনা জেনে আশে পাশের ৭ দোকান ও ১টি হোটেলসহ প্রতিবেশী ১০ জনের বাড়ি লক ডাউন ঘোষনা করেন। এ সময় সৈয়দপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র জিয়াউল হক জিয়া, স্থানীয় ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবিদ হোসেন লাড্ডান, মহিলা কাউন্সিলর জোসনা বেগম, সৈয়দপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (তদন্ত) আতাউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার বলেন, লক ডাউনকৃত ১০ বাড়ির কেউ বাইরে যেতে পারবেনা এবং বাইরের কেউ এ বাড়িগুলোতে প্রবেশ করতে পারবেনা। বাড়ির বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিকট আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে হবে। সেক্ষেত্রে আত্মীয়রা পন্য-সামগ্রী মসজিদের সামনে মোড়ে রেখে যাবেন এবং তারা পরে এসে সেখান থেকে সেগুলো নিয়ে যাবেন। পৌর প্যানেল মেয়র জিয়াউল হক জিয়া বলেন, এলাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে যে লকডাউনকৃত বাড়িগুলো আপনারা যাবেন না এবং তাদেরকেও বাইরে আসতে দিবেন না। এ নির্দেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারণ আপনারা সচেতন ও সতর্ক না হলে নিজেরা যেমন আক্রান্ত হবেন তেমনি পুরো পৌরবাসীর জন্য চরম হুমকি ডেকে আনবেন। যা কোন ভাবেই বরদাস্ত করা হবেনা