বাগেরহাটে ৩৮ দেশ থেকে ফেরত ৪ হাজার ২‘শ প্রবাসী অবস্থান করছেন। এর মধ্যে ১১‘শ ৪৪ প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। হোম কোয়ারেন্টাইনের নির্ধারিত সময় পূর্ন হওয়ায় ৪‘শ ৪৫ জনের হোম কোয়ারেন্টাইন পূর্ন হওয়ায়, তারা স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। এদিকে করোনা সন্দেহে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে থাকা তরুণ তরুনী সুস্থ্য হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। এর আগে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে‘র আইসোলেশনে থাকা বৃদ্ধের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি না থাকায় তাকেও বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সকালে বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ৩৮টি দেশ থেকে ৪২‘শ প্রবাসী দেশে ফিরেছেন। এর অধিকাংশ ভার থেকে এসেছেন। এদের মধ্যে ১১‘শ ৪৪ প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। ইমেগ্রেশন পুলিশের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী প্রবাসীদের বাড়ি বাড়ি খুজে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতের জন্য কাজ করছি। আমরা তালিকা পাওয়ার আগেই প্রায় ৮‘শ প্রবাসী ১৪ দিন অতিবাহিত করেছেন। তাই তাদের আর হোম কোয়ারেন্টাইন প্রয়োজন নেই। এছাড়া বাগেরহাট সদর হাসপাতালে করোনা সন্দেহে যে দুইজন ভর্তি ছিলেন। তারা সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। এখন পর্যন্ত বাগেরহাট জেলা কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) রোগী মুক্ত।
তিনি আরও বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও যদি আক্রন্ত হয় তাহলে চিকিৎসার জন্য আমাদের সর্বোচ্চ ব্যবস্থা রয়েছে। বাগেরহাটের চিকিৎসক ও নার্সদের পিপিই (পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট) সংকট ছিল। তার সমাধান হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভূমি বুক ক্যাফে ও সিটি ল্যাব নামক দুটি প্রতিষ্ঠান আমাদের ৪‘শ মাস্ক ও বেশকিছু পিপিই সরবরাহ করেছে। সব মিলিয়ে করোনার বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে, সচেতন থাকার আহবান জানান তিনি।