গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় এ পর্যন্ত ২৭ ব্যক্তি কে হোমকোরেন্টিনে রাখা হয়েছে। পুরো সাদুল্লাপুর উপজেলা জুড়ে করোনা আতঙ্কে নিজ নিজ বাড়ীতে অবস্থান করছে অধিকাংশ উপজেলাবাসী। বণিক সমিতির সভাপতি শফিউল ইসলাম স্বপন মাইকিং করেছেন বিকেল ৫টা থেকে পরদিন সকাল ১০ টা পর্যন্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করেছেন। ২৪ মার্চ থেকে সেনাবাহিনী উপজেলায় সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছে। বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে।
গত ২১মার্চ/২০২০ তারিখে হাবিবুল্লাহ পুর গ্রামের জনৈক শচীন চন্দ্রের বাড়ীতে করোনা আক্রান্ত তার বোন জামাই আমেরিকার প্রবাসী দুজন আত্মীয় দাওয়াত খেতে আসায় ওই পরিবারের সদস্যদের করোনা আক্রান্ত হয়। পরে করোনা আক্রান্ত ওই পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ভাইরাস আক্রান্ত এলাকার প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন সরকার জানান হাটবাজার সহ বিভিন্ন প্রয়োজনে বাহিরে বের হতে পারছিনা। সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব শাহিনুর ইসলাম জানান করোনা আক্রান্ত সন্দেহ জনক ব্যক্তিদের তাদের নিজ বাড়ীতে হোমকোয়ারেন্টিনে রাখা আছে। এলাকায় করোনা ভাইরাস থেকে সতর্ক থাকতে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও নমুনা সংগ্রহের জন্য সাদুল্লাপুরে আইইডিসিআর প্রতিনিধি দল সাদুল্লাপুর উপজেলায় করোনা আক্রান্ত সন্দেহ ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণ করছেন।
এদিকে লকডাউন কে কেন্দ্র করে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। সাধারণ লোকজন বাড়ী থেকে বের হচ্ছে না। ফলে শ্রমজীবী নিম্ন আয়ের মানুষেরা পরেছে চরম ভোগান্তিতে। কিশামত শেরপুর গ্রামের মোজা মিয়া জানান বাড়ী থেকে বের না হতে পেরে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটছে। সাদল্লাপুর বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী ফুল মিয়া জানান কিছু সময়ের জন্য দোকান খুললেও বেঁচা কেনা নেই বললেই চলে। এদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে বিভিন্ন অটোরিকশা, মটর গাড়ী, দোকানে, ঝোপঝাড়ে, রাস্তায়, লোকজনের হাতের স্পর্শ লাগে এমন সব জায়গাতে কীটনাশক প্রয়োগ করছে। তাছাড়া করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে লিফলেট,মাইকিং প্রচার প্রচারণা করছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নবীনেওয়াজ বলেন করোনা ভাইরাস যাতে সুস্থ মানুষ কে আক্রান্ত করতে না পারে এজন্য বিভিন্ন সচেতন মূলক প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে।