করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে মেহেরপুর জেলায় সকল দোকানপাট বন্ধ ঘোষনা করেছে জেলা প্রশাসন। ঘোষনার পরপরই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৭টা থেকে র্যাব,পুলিশ,জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা দোকানপাট বন্ধ করে বিভিন্ন স্থানে টহল দেন তারা।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মো: আতাউল গনী জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রামন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সাময়িক ভাবে দোকানপাট বন্ধ ও সাধারন মানুষের চলাচল সিমিত করা হয়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হতে সকলের কাছে আহবান জানিয়ে তিনি বলেছেন,সাময়িক কষ্ট হলেও দেশ ও দেশের মানুষের কল্যানের জন্য দোকান বন্ধ ও মানুষের চলাচল সিমিত করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন,মুদি,সবজি,ঔষধ,খাবারের দোকান চালু থাকবে যে কোন ব্যক্তি প্রয়োজন মত ভোগ্যপন্য ক্রয় করতে পারবে। এ ছাড়া তিনি আতংকি না হতে ও গুজবে কান না দিতে সকল শ্রেনী পেশার মানুষের প্রতি আহবান জানান তিনি। যে কোন প্রয়োজনে জেলা প্রশাসক কিংবা কন্টোল রুমে যোগাযোগ করার আহবান জানান।
জেলা প্রশাসক মো: আতাউল গনী আরো জানান, বুধবার থেকে জনসমাগম বন্ধে সেনা সদস্যরা মাঠে থাকবে। এ ছাড়া জেলায় করোনা প্রভাব বিস্তাররোধে প্রয়োজনীয় যে কোন কাজে সেনা,পুলিশ ও সিভিল প্রশাসন এক যোগে কাজ করবে।
পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী জানান,বিদেশ ফেরত সবার বাড়িতে গিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনের বিষয়টি নিশ্চিত করছে। এ ছাড়া করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে সচেতনাতা মুলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা করছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া সাধারন মানুষকে ঘর থেকে বের না হতে আহবান জানান তিনি।
মেহেরপুরের সিভিল সার্জন নাসির উদ্দীন বলেন,মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩০৪ জন প্রবাস ফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইন (সংগ নিরোধ/বাড়িতে থাকা) শেষ হওয়ায় ৭৯ জনকে (উন্মুক্ত করে দেয়া) ছেড়ে দেয়া হয়েছে। প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথভাবে কাজ করছে।
মেহেরপুর জেলা বাস ও মিনিবার মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম রসুল জানান,সিমিত আকারে যান চলাচল করছে। তবে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে পূর্নাঙ্গ ভাবে যান চলাচল বন্ধ থাকবে।