করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় শক্ত অবস্থানে মাঠে নেমেছে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা প্রশাসন। বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিক থেকেই শক্ত অবস্থান নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সরকারী নির্দেশ মোতাবেক দোকান পাট বন্ধ থাকলেও সকাল থেকে জনগনে পরিপূর্ণ ছিল উপজেলার সদর ভবানীগঞ্জ বাজারসহ অন্যান্য বাজার গুলো। জনগনের কারনেই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় সরকার জনগনকে ২০ দিনের জন্য ঘরের বাহিরে বেরোনোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। দোকান মালিকগন সরকারী নিষেধাজ্ঞা মেনে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলেও সাধারন মানুষ সরকারী নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে বাজার গুলোতে ভিড় জমাতে থাকে। জনগনের এমন কর্মকাণ্ড উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসলে বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) মাহামুদুল হাসানের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে বাজার গুলোতে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে জনগনকে বাজার গুলো থেকে সরাতে না পেরে উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ দুই কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা লাঠি চার্জের মাধ্যমে জনগনকে বাজার থেকে তাড়িয়ে দেয় এবং তাদেরকে বাড়িতে অবস্থান করার নির্দেশ দেন। লাঠি চার্জের কারণে অল্প সময়ের মধ্যেই উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জ বাজার জনশূন্য হয়ে পড়ে। উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকাণ্ডে দেখে বাগমারায় লকডাইনের আওতায় আনা হয়েছে বলে সচেতন মানুষ মনে করছেন। প্রশাসনের এমন কর্মকান্ডের সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মানুষ। করোনা ভাইরাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত জনগনকে প্রশাসনের সাথে একমত পোষনের মাধ্যমে তাদেরকে সহযোগীতা করা প্রয়োজন বলে এলাকার সচেতন মানুষ মনে করেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকার দেশ ব্যাপী জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছেন। আমরা সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে সরকারের নির্দেশ পালন ও বাগমারা এলাকার জনগনকে সুস্থ রাখতে কাজ করে যাচ্ছি। জনগনকে সুস্থ রাখতে উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে আমি আমার দায়ীত্ব সুষ্ঠ ভাবে পালন করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।