বগুড়ায় পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। কোরোনা ভাইরাসের নিষেধাজ্ঞা থাকায় ওরশ করতে নিষেধ করায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ইন্সপেক্টর ,এএসআই সহ কমপক্ষে ৩পুলিশ সদস্য। এ সময় স্থানীয় ফাঁড়ী পুলিশের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর ও এএসআইকে আটক করে তাদের মারপিট করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে শহরের নামাজগড় এলাকায়। পুলিশ এ ঘটনায় ২৪জনকে আটক করেছে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশের একটি দায়িত্বশীল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত বুধবার রাতে শহরের নামাজগড় সুলতানগঞ্জ পাড়াএলাকায় ভাষা সৈনিক মরহুম গাজীউর রহমানের বাড়ীতে স্থানীয় এবং কথিত পীর সিরাজুল হক চিসতীর মৃত্যু দিন উপলক্ষে সেখানে ওরশ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে গান বাজনা দোয়া মেহফিল উপলক্ষে সেখানে তারা গরু জবাই করে আয়োজকরা। সন্ধ্যার পর থেকেই সেখানে ভক্তরা আসতে শুরু করে। কোরানো ভাইরাসের কারণে স্থানীয় পুলিশ দু'দফা সমাগম না করার জন্য নিষেধ করে যায়।
কিন্তু প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধা আ্গংুল দেখিয়ে আয়োজকরা স্থানীয়ভাবে ওরশ আয়োজন করায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিষয়টি স্থানীয় উপশহর ফাঁড়ী পুলিশ আবারো তাদের বারন করে। এতে ক্ষুব্ধ হয় সেখানকার বেশ কিছু অতি উৎসাহী যুবক। তারা এ সময় স্থানীয় উপশহর ফাঁড়ী পুলিশের উপর হামলা করে তাদের মারধোর করে। এতে আহত হয় কমপক্ষে ৩পুলিশ সদস্য। এর একপর্যায়ে তারা উপশহর ফাঁড়ী পুলিশের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নান্নু খান ও এএসআই জাহিদকে আটক রেখে বেধড়ক ভাবে মারপিট করে।এতে করে ২জনারি হাত ভেঙ্গে যায়।
পরে খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা সেখানে পৌছে ইন্সপেক্টর নান্নুখান সহ অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার ও অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জরিত সন্দেহে এলাকার সাবেক ২জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর সহ মোট ২৪জনকে আটক করে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বগুড়া সদর পুলিশের কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি সার্বিক)এসএম বদিউজ্জামান। আহত পুলিশ সদস্যদের বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে অপর একটি সূত্রে জানা যায় ঘটনার সময় গ্রাম থেকে আসা বেশ কিছু মহিলা পুরুষ ভক্ত আশপাশে স্থানীয় বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে তাদের আত্বসমর্পনের কথা বললে তারা ওই সব বাড়ী থেকে বেড়িয়ে এলে পুলিশ তাদের মধ্য ২৪জন পুরুষকে গ্রেপ্তার করে।পুলিশ বলছে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্য এলাকার সাবেক ২জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর রয়েছেন।
অন্য দিকে প্রত্যক্ষদশীরা জানায় ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে কথিত পীর সিরাজুল হক চিস্তী এর দৌহিত্র এবং মরহুম ভাষা সৈনিক গাজীউল হকের পুত্র পীর রাহুল গাজীকে আটক করা হলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। অন্যদিকে ঘটনাস্থলে না থাকার পরেও এলাকার একজন সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিরকে পরে ডেকে এনে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এদিকে সরকারী বাঁধা প্রদান ,পুলিশ সদস্যদের মারপিট করা সহ দঃবি ১৪৩/১৪৭/১৪৮/৩৩২/৩৩৩/৫৩ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। পুলিশের এ মামলায় এজাহার নামীয় ২৪জন সহ আরো শতাধিক অজ্ঞাত ব্যাক্তিকে আসামি করা হয়েছে।