করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে সরাইল এখন লক-ডাউনে। হাট-বাজার বন্ধ। রাস্তা-ঘাট একেবারে ফাঁকা। পুলিশের টহল চলছে সর্বত্র। চারিদিকে লোকজনের মধ্যে একটা ভীতি কাজ করছে। প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে আসছেন না কেউ। মাঝে মধ্যে নজরে পড়ে ঔষধ, কনফেকশনারী ও মুদির দোকান। এদের মধ্যেও বিরাজ করছে অজানা আতঙ্ক। গতকাল পর্যন্ত সরাইলে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ১০২ জন প্রবাসী। পিরিয়ড শেষ হয়েছে ৫২ জনের। সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবারের ঘোষণার পরও লোকজন রাস্তা ও হাট বাজার ছাড়ছিলেন না। গত বুধবার জরূরী সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর ও ইউএনও এএসএম মোসা’র কঠোর হুঁশিয়ারি ও সরাইল থানা পুলিশের অ্যাকশনের পর লকডাউন কার্যকর হতে থাকে। ওইদিন দুপুরে ও সন্ধ্যায় সরাইলের বিভিন্ন গুরূত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ চড়াও হয়। গতকাল সকাল থেকে চিত্রটা একটু ভিন্ন। উপজেলা সদরের অফিস পাড়া থেকে শুরূ করে সর্বত্রই চললে সুনসান নীরবতা। হোম কোয়ারাইনটাইন কার্যকর করতে পাড়ায় মহল্লায় ঘুরছেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা প্রিয়াংকা। টেক অফিসাররাও কাজ করছেন। ইউপি চেয়ারম্যান, সচিব ও সদস্যরা এখন আর পিছিয়ে নেই। প্রত্যেকেই সাধ্যমত জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। গতকাল সকালে সদর ইউনিয়নে বেশ কয়েকজন হত দরিদ্রের হাতে ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্ধকৃত চাল তুলে দিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর ও ইউএনও এএসএম মোসা। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোমান মিয়া বলেন, হাসপাতালের জরূরী বিভাগ ২৪ ঘন্টা খোলা আছে। সকল ধরণের সেবা দিতে কর্তৃপক্ষ প্রস্তোত। দায়িত্বে অবহেলা করলে কেউ রেহাই পাবেন না। নির্বাহী কর্মকর্তার দফতর সূত্র জানায়, এই মাসের ৩ তারিখ থেকে গতকাল ২৬ মার্চ পর্যন্ত সরাইল উপজেলার মোট ৫৬৪ জন লোক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে নিজ দেশে এসেছেন। এর মধ্যে অনেকের নির্ধারিত সময় পাড় হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে ১০২ জন প্রবাস ফেরৎ হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, চিকিৎসকদের জন্য ১০-১২টি পিপিই ম্যানেজ করেছি। অন্যদের হাতের গ্লাব্স ও মার্কস্ দেওয়া হয়েছে। আমাদের এখানে করোনায় আক্রান্ত কোন রোগী এখনো সনাক্ত হয়নি। ইউএনও বলেন, আমরা আমাদের কাজ যথাযথ পক্রিয়ায় পরিচালনা করছি। আমাদের কর্মকর্তা কর্মচারিরাও উপজেলা থেকে মাঠ পর্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে।