করোনা সংক্রমন এড়াতে লক্ষ্মীপুরে অসহায়,দুস্ত ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরন করা হয়েছে। সে সাথে বিতরণ করা হয়েছে সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকের সুরক্ষা সামগ্রী। আর হোম কোয়ারেন্টাইনের থাকা প্রবাসীদের বসত ঘরের সামনে টানানো হয়েছে লাল পতাকা। জেলা সিভিল সার্জন জানিয়েছেন সচেতনায় জেলায় এক হাজার স্বাস্থ্যকর্মী মাঠে কাজ শুরু করে দিয়েছেন,তাদের জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে সুরক্ষা সামগ্রীও। এছাড়া করোনা প্রতিরোধে জেলা প্রশাসন থেকে বৃহসম্পতিবার সকালে বন্ধ করা হয়েছে নিত্যপণ্য, ফার্মেসি, হাসপাতাল ব্যতিত সকল ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান একই সাথে রিকশা, ভ্যানসহ সকল ধরণের যানবাহনও।
জানাগেছে,জেলার সদও,রায়পুর,রামগতি রামগঞ্জ উপজেলাসহ নির্বাহী কর্মকর্তাদের ব্যাক্তিগত অর্থায়নে,
দেওয়া হয়েছে সদর সদর উপজেলার জকসিন বাজার,নুরপ্লাজা চত্বর, খাদ্যগুদাম,সোনাপুর মোরগ বাজার ও মাছ বাজার এলাকায়সহ বিভিন্ন স্থানে এ খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়। এছাড়া খাদ্য সামগ্রী চাল-ডাল,তেল লবণসহ একটি পরিবারের এক সপ্তাহের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। হোম কোয়ারেন্টাইনের বাড়ি বাড়ি গিয়ে লাল এই পতাকা লাগানো হয়। সনাক্ত করে দেওয়া হয় কোয়ারেন্টাইনে অবস্থানকারীদের। জনসচেতনতায় কাজ করছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সিভিল সার্জন সহ সকল জনপ্রতিনিধিরা। এছাড়া জেলা শহরে করোনা প্রতিরোধে লক্ষ্মীপুরে নিত্যপণ্য, ফার্মেসি, হাসপাতাল ব্যতিত সকল ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। একই সাথে রিকশা, ভ্যানসহ সকল ধরণের যান চলাচলও বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এতে ব্যস্ত শহর অনেকটাই ফাঁকা হয়েছে। আয় বন্ধ হয়ে যাওয়া দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে আতংকে বিরাজ করছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এবং জনসচেতনতা বাড়াতে জেলা ব্যাপী আাইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাথে যুক্ত হয়েছে নির্বাহী ম্যাজিষেষ্ট্রটদের নেতৃত্বে মাঠে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। চালানো হচ্ছে সচেতনা প্রচার প্রচারনা।
অপরদিকে ১০০ পিছ চিকিৎসকের সুরক্ষা সামগ্রী ব্যাক্তিগত পক্ষ থেকে বিতরণ করেছেন সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এবং লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের এমপি একে এম শাহজাহান কামাল। করোনা সংক্রমন এড়াতে সাধারণ মানুষের সচেতনা ও চিকিৎসার জন্য সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালে কর্মরত সুরক্ষা রাখতে এ পোশাক সামগ্রী জন্য প্রদান করেন বলে জানান তিনি।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিল জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে হাঁট বাজার বন্ধ হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুক্ষিন হবে ক্ষুদ্র ও ছিন্নমূল মানুষরা। তাদের আয় রোজগারে পুরো পরিবার চলে। তাই আমার সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন তিনি।
সিবিল সার্জন ডা.আবদুল গফ্ফার জানান,হোম আতঙ্কিত না হয়ে আরো সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় এবং যে কোন প্রয়োজনে সরাসরি ডাক্তার ও প্রশাসনকে ফোন করার জন্য বলা হয়। এর মধ্যে ১ জনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুর জেলার চারটি হাসপাতালে ১০০ টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত লক্ষ্মীপুরে নতুন ৬৯ জনসহ মোট ৮৭২ জন হোম কোয়ারাইন্টাইনে আছে।