বোরো ধানে রোগ ও পোকামাকড় দমনে কৃষক ভাইদের করনীয়" বর্তমান বৈশ্বিক করোনা ভাইরাস (কোভিড ১৯) বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করায় ভবিষ্যৎ খাদ্য সংকট মোকাবেলায় চলমান রবি মৌসুমে বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ঠিক রাখতে হলে মাঠস্থ বালাই দমনে এখনই আগাম সতর্কতা মূলক ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আড়াইহাজার উপজেলা কৃষি বিভাগের সূত্রে জানা যায়, এ বছরে আড়াইহজারে ১০২০০ হে. জমিতে বোরো আবাদ হয়। গত বছর কিছু কিছু এলাকায় ২৮ ও ২৯ জাতের ধানে নেক ব্লাস্টের আক্রমন হওয়ায় অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল।এ বছরও অনেক কৃষক ২৮ ও ২৯ জাতের ধান আবাদ করেছেন।
তাই এবারও ব্লাস্ট এর আক্রমন হতে পারে বিশেষ করে পাতায় ব্লাস্টের লক্ষন দেখা মাত্রই জমিতে ১-২ ইঞ্চি পানি ধরে রাখতে হবে, বিঘা প্রতি ৫ কেজি পটাশ সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে এবং প্রতি ৫ শতক জমির জন্য ১০ লিটার পানিতে ৮ গ্রাম ট্রুপার ৭৫ ডব্লিউপি ছত্রাকনাশক ৫-৭ দিন অন্তর অন্তর ২ বার স্প্রে করার জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পরামর্শ দিয়েছেন।
এছাড়া এসময় ধানে মাজরা ও পাতা মোড়ানো পোকার ব্যাপক আক্রমন হতে পারে এসব পোকার আক্রমন হলে ডার্সবান বা ভিরতাকো বা এসিটাফ বা সাকসেস ইত্যাদি যেকোনো একটি অনুমোদিত কীটনাশক প্রয়োগ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
জমিতে যেকোনো ধরণের রোগ বা পোকার আক্রমণের লক্ষন দেখা মাত্রই সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে। এ সংকটময় মহুর্তে কৃষক ভাইদের স্বার্থে সকল বীজ, সার ও বালাইনাশকের দোকান খোলা রাখা হয়েছে এবং মোবাইলের মাধ্যমে কৃষক ভাইদের কৃষি বিষয়ক যেকোনো পরামর্শ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।